এসি বিস্ফোরণে নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে মৃত্যু হয় বিয়ামের কর্মচারীদের: পিবিআই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৫ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৫ PM
রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনের একটি অফিস কক্ষে নিহত দুই কর্মচারী এসি বিস্ফোরণে নয়, নথিপত্র ধ্বংস করতে গিয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আড়াই মাস তদন্ত করে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে সংস্থাটি।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে কল্যাণপুরে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুর রহমান। গ্রেফতার আসামিরা হলেন: বিয়ামের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং তার ভাড়াটে সহযোগী মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৬)।
আরও পড়ুন: এসি বিস্ফোরণে নিহতের ঘটনাকে ‘বোমা হামলা’ বলছে বিএনপি, মির্জা ফখরুলের বিবৃতি
সংবাদ সম্মেলনে আবদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) ঢাকা ও কুড়িগ্রামে অভিযান চালিয়ে বিয়ামের প্রসাশনিক কর্মকর্তা এসএম জাহিদুল ইসলাম ও তার ভাড়াটে সহযোগী আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জাহিদ বিয়ামে অবস্থিত বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির নথি ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আশরাফুলকে ভাড়া করে ঘটনার দুই থেকে তিন মাস আগে কুড়িগ্রাম থেকে এনে মগবাজার একটি হোটেলে রাখেন। সঙ্গে যুক্ত করেন বিয়ামের অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক ও গাড়িচালক মো. ফারুককে। ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায় তাদের রাজি করান জাহিদ।
এ বিষয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসআইএন্ডও) বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এর মাধ্যমে আসামী সনাক্তপূর্বক, তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামী মো. আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মো. আশরাফুল ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বিয়ামের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসামী জাহিদুল ইসলামকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। উভয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। পিবিআই সদা সত্য উদঘাটনে বদ্ধ পরিকর। ন্যায় বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছি। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’