বেতন দিতে পারেননি, বের করে দেওয়া হলো ১৪ শিক্ষার্থীকে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২৫ AM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২৫ AM
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বকেয়া বেতন দিতে না পারায় একটি কলেজের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার হল থেকে ১৪ শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বুধবার (৪ অক্টোবর) হালুয়াঘাটের ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার শাকুয়াই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দৌলত আলী ও প্রভাষক আবদুস ছালামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিভাবকরা জানান, গত ২৪ এপ্রিল শুরু হয় প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা। এতে ১৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও মঙ্গলবার বেতন পরিশোধ করতে না পারায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে দেড় ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ১৪ জনকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগে বলা হয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বেতন পরিশোধ না করায় অধ্যক্ষ ও প্রভাষক গালমন্দ করে বের করে দেন।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষাথীদের ভর্তি ফি নেওয়া হয় ৬ হাজার টাকা। দু’বছরে বেতন দিতে হয় ৭ হাজার ২০০ টাকা। চারটি পরীক্ষার ফি ৮০০ টাকা। সব মিলিয়ে নেওয়া হয় ১৪ হাজার টাকা। চলতি বছরে এমপিওভুক্ত হয়েছে কলেজটি।
পরীক্ষার্থী মাইশা আক্তার ইমু বলেন, তার কাছে বেতন পায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ হাজার টাকা পরিশোধও করেছেন। প্রভাষক আবদুস ছালাম বলেছেন, ‘বাকি টাকা না দিতে পারলে চলে যাও। বাবাকে বলো বিয়ে দিয়ে দিতে, আর পড়তে হবে না।’
আরেক পরীক্ষার্থী সোহানা জান্নাত শাম্মি বলেন, তার বকেয়া ৯ হাজার টাকা। ৫ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি টাকা না দিতে পারলে চলে যেতে বলেছেন।
আরো পড়ুন: ঢাবিতে খেলোয়াড় কোটায় ৬০ শিক্ষার্থীর ভর্তি অনুমোদন
অভিভাবক মানিক ভাদুরী বলেন, তাঁর মেয়ে ও ভাগনি কলেজটিতে পড়ে। তিনি মেয়ের ফি ও বেতন পরিশোধ করেছেন। তবে বোনের পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় ভাগনির বেতন দিতে পারেনি। এ জন্য তাকে বের করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ দৌলত আলী বলেন, বিষয়টি প্রভাষক ছালামের কাছ থেকে জেনেছেন তিনি। মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালে বেতন বকেয়া থাকলে অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে বলেন। শিক্ষার্থীরা বুঝতে না পেরে চলে গেছে। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপস্থিত থাকলে এমনটি হতো না। প্রভাষক আবদুস ছালামও এক দাবি করেন। ছাত্রীকে বিয়ের পরামর্শের বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
ইউএনও মাহমুদা হাসান বলেন, লিখিত অভিযোগটি শিক্ষা কমকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে। আর একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার অভিভাবক, শিক্ষাথী ও অধ্যক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।