শিক্ষকের মারধরে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ, ৪ শিক্ষক কারাগারে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১১:১৮ AM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩, ১১:২৫ AM
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে শিক্ষকের মারধরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ছাত্রের নাম রাজপ্রতাপ দাস। সোমবার (১৭ জুলাই) তাদের আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে নিহতের বাবা দীনবন্ধু দাস বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
কারাগারে পাঠানোর চার শিক্ষক হলেন- কালীগঞ্জ নলতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আব্দুল মোনায়েম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুহিত, সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও অবকাশ কুমার খাঁ। মামলার আরেক আসামি সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও চার জনকে।
জানা যায়, গত ১৬ জুলাই (রবিবার) বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলের ছাদে কেক কাটে নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাশসহ তার কয়েকজন বন্ধু। এ সময় তারা টিকটক ভিডিও করছিল। বিষয়টি নজরে পড়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্রের। তিনি গিয়ে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিষেধ করলে তারা শিক্ষকের সাথে তর্কে জড়ায়। এ সময় তাদের চড় থাপ্পড় মারেন শিক্ষক। এর পরপরই বাড়ি চলে যায় রাজপ্রতাপ তার বন্ধুরা।
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মধ্যেই কলেজছাত্রকে হত্যা
রাজ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে টয়লেটে যায়। সেখান থেকে সে বমি করতে করতে বের হয়। তখন সে পরিবারের সদস্যদের কাছে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। তাকে নিয়ে চিকিৎসকের উদ্দেশে রওনা হলে পথেই মারা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আরও সাতটি ভাঙচুর করে।
নিহত ছাত্রের বড় ভাই মধু কুমার দাস জানান, তার ভাই রবিবার না খেয়ে স্কুলে য়ায়। এ ছাড়াও আগে থেকে তার কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। তিনি আরও জানান, তার মৃত্যুর কারণ সঠিক করে কিছু বলতে পারছি না। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় যদি শিক্ষকরা দায়ি থাকেন, তবে তাদের শাস্তি দাবি করছি।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান জানান, ‘নিরাপত্তার কথা ভেবে আটক শিক্ষকদের সাতক্ষীরা সদর থানায় রাখা হয়েছিল। বিকাল ৩টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানা যাবে।