শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে নোয়াখালীকে হারাল সিলেট
- ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২০ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ PM
ঘরের মাঠে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে হেরে বিপিএল শুরু করেছিল সিলেট টাইটান্স। হাফ সেঞ্চুরি করেও সেদিন জয় উদযাপন করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। আজও ৪১ বলে ৬০ রান করেন ইমন। অন্যদিকে শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা, তবু নাটকীয়ভাবে শেষ বলে জিতে যায় স্বাগতিক সিলেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট টাইটান্স। প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব, ২ বলে ০ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও ৭ বল খেলে ৯ রান করে ফেরেন।
এরপর ক্রিজে আসে পারভেজ হোসেন ইমন ও জাকির হাসান। তবে ১২ বলে ১৩ রান করে ৩৪ রানের মাথায় বিদায় নেন জাকের পরে ইমনের সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। ধীরে ধীরে ক্রিজে জমে ওঠে ইমন-মিরাজ জুটি। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ইনিংসও এগিয়ে নেন তারা। তবে দলের ১১৭ রানের মাথায় ৪১ বলে ৬০ রান করে বিদায় নেন ইমন।
এরপর মিরাজের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন ইথান ব্রুকস। কিন্তু ১৮তম ওভারে খেলা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেন মেহেদী হাসান রানা। ওভারের শেষ তিন বলে মিরাজ, নাসুম আহমেদ ও খালেদ আহমেদকে আউট করে বিপিএলে প্রথম হ্যাটট্রিকের নজির গড়েন তিনি।
শেষ দুই ওভারে সিলেটের দরকার ছিল ১৯ রান। ১৯তম ওভারে আসে ৬ রান। শেষ ওভারে দরকার ১৩ রান। বোলিংয়ে আসে সাব্বির হোসেন, স্ট্রাইকে ছিলেন ব্রুকস। প্রথম দুই বল ডট হয়, পরের বলে সাব্বিরকে মারেন ব্রুকস। নো‑বল ও ফ্রি হিটে ৪ বলে দরকার পড়ে ১২ রান। লাইফলাইন পেয়ে ব্রুকস হাঁকান দারুণ ছক্কা। পরের বলে মেরে দেন চার, ৩ বলে দরকার ৬ রান।
শেষ দুই বলে সহজ সমীকরণ মেলাতে গিয়ে অবশ্য বিপত্তি ঘটে। বাই থেকে রান নিতে গিয়ে ব্রুকস ক্রিজের অর্ধেক অংশে আটকে যান এবং ডিরেক্ট থ্রোতে রান আউট হন। এতে ১৩ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন।
শেষ বলে দরকার ২ রান, স্ট্রাইকে আসেন সালমান। ওয়াইড থেকে শেষ বলে এক রান আসে। পরে দৌড়ে রান নিয়ে অবিশ্বাস্য ও রোমাঞ্চকর এক জয় নিশ্চিত করে সিলেট।
নোয়াখালীর হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা। এছাড়া হাসান মাহমুদ ২ উইকেট, জাহির খান ও রেজাউর রহমান রাজা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, টসে জিতে সিলেট নোয়াখালীকে ব্যাটিংয়ে পাঠালে দুই ওপেনার মাজ সাদাকাত ও হাবিবুর রহমান সোহান শূন্য রানেই ফেরেন। হায়দার আলীও রানের খাতা খুলতে পারেননি। পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তোলে নোয়াখালী।
এরপর সৈকত আলী ও অঙ্কন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। সৈকত ২৪ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন অঙ্কন।
শেষ দিকে জাকের আলী অনিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের গতি বাড়ান অঙ্কন। জাকের ১৭ বলে ২৯ রান করে আউট হন, আর অঙ্কন শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫১ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৩ রান।
সিলেটের হয়ে ৪ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। এ ছাড়া সাইম আইয়ুব দুটি এবং মোহাম্মদ আমির একটি উইকেট নেন।