ভারত বধ হলো যেভাবে, গোপন কথা জানালেন আকবর আলী

বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী যেন স্নায়ুচাপ চামলাতেই পারছিলেন না
বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী যেন স্নায়ুচাপ চামলাতেই পারছিলেন না  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেটে নাটকীয়তা তো নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাতারের দোহার ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ‘এ’-ভারত ‘এ’ দলের সেমিফাইনালের ম্যাচে যা হলো, সেটা হার মানাবে যেকোনো থ্রিলার মুভিকেও। বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী যেন স্নায়ুচাপ চামলাতেই পারছিলেন না।

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালের নাটকীয়তার শুরু ভারতের ইনিংসের শেষ বলে। বাংলাদেশকে হারাতে ভারতের দরকার ছিল ৪ রান। শেষ বলে হার্শ দুবে লং অনে ঠেলে ৩ রান নিয়েছেন। দুবে যখন দ্বিতীয় রান নিচ্ছিলেন, তখন উইকেটরক্ষক আকবর আলী অফ স্টাম্প ভাঙতে গিয়ে ওভার থ্রো করে বসেন। সেই সুযোগে দুবে আরও ১ রান নিলে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটি হয় টাই। সুপার ওভারেও দেখা গেছে নাটক। নানা নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে কেটেছে ফাইনালের টিকিট। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আকবর বলেন,‘যারা সমর্থন দিয়েছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সমীকরণটা জানতাম। কিন্তু শেষ বলে যে কী করব, সে সময় মাথা কাজ করছিল না। বলটা আমি থ্রো করলাম। সুপার ওভারে যখন বোলিং করলাম, তখন বললাম যেকোনো কিছু হতে পারে। দায়টা আমি নিচ্ছি।’

আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের স্কোর ১৮ ওভার শেষে ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। শেষ দুই ওভারে ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি ও এসএম মেহেরব। শেষ ১২ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান যোগ করায় ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান। ফি জয়ের লক্ষ্যে নামা ভারত বিস্ফোরক শুরু করলেও শেষ দুই ওভারে ২১ রানের সমীকরণের সামনে এসে পড়ে তারা। হাতে তখন ভারতের ৬ উইকেট। ডেথ ওভারে ঠাণ্ডা মাথায় দুর্দান্ত বোলিং করেন। ১৯তম ওভারে ৫ রান খরচ করে ১ উইকেট নিয়েছেন। এরপর সুপার ওভারে প্রথম ২ বলে ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে রানের খাতাই খুলতে দেননি রিপন।

দুই ফিনিশার ইয়াসির-মেহেরবের পাশাপাশি চাপ সামলে বোলিং করা রিপন মন্ডলকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন আকবর। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আর সোহান যখন ছিলাম, তখন ১৮০ রান করার লক্ষ্য ছিল। তবে মেহেরব-ইয়াসির দারুণভাবে শেষ করেছে। তাদের (মেহেরব-ইয়াসির) প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। ভারতের দুই ওপেনার যেভাবে শুরু করল, আমাদের বোলিং খারাপ হয়নি। কিন্তু তারা (ভারতের ওপেনার) ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। রিপনের ১৯তম ওভার আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।’

আকবর অবশ্য মূল ম্যাচে শুধু ওভার থ্রোর ভুলটাই করেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচও ফেলেছেন। ভারতের বিপক্ষে মূল ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানের ব্যাট থেকে। তাঁর চেয়েও বেশি ইমপ্যাক্ট রেখেছেন এসএম মেহেরব। ১৮ বলে ৬ ছক্কা ও ১ চারে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ম্যাচসেরা হয়েছেন রিপন। মূল ম্যাচে ৪ ওভারে ৩৫ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট। সুপার ওভারেও জিতেশ ও রামানদীপ সিংয়ের মহাগুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট পেয়েছেন রিপন।


সর্বশেষ সংবাদ