বিতর্কিত সেই রান আউটের ব্যাখ্যা দিল এমসিসি

মুনিবা আলীর রানআউটের চিত্র, যেটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়
মুনিবা আলীর রানআউটের চিত্র, যেটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়  © টিডিসি

নারী বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মুনিবা আলীর রানআউট ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি পাকিস্তান। তবে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) জানিয়েছে, সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল এবং নিয়ম মেনেই আউট হয়েছিলেন মুনিবা।

ভারতের পেসার ক্রান্তি গৌরের এক বল মুনিবা আলীর প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন ফিল্ডাররা, যা নাকচ করে দেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার। তবে সে সময় ক্রিজের বাইরে ছিলেন মুনিবা, ব্যাটও ছিল বাতাসে। দীপ্তি শর্মার থ্রো স্টাম্পে লাগলে তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে তাকে রানআউট দেন। সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান দল, এরপর চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন ড্রাগআউটে থাকা অধিনায়ক ফাতিমা সানা।

অনেকের দাবি, আইনের ৩০.১.২ ধারা অনুসারে আউট ছিলেন না মুনিবা। কেননা, কিছু সময় আগেই ক্রিজে ব্যাট রেখেছিলেন তিনি। তবে এমসিসি বলছে, এই ধারা প্রযোজ্য শুধু তখনই, যখন ব্যাটার দৌড়াতে গিয়ে বা ডাইভ দিতে গিয়ে সাময়িকভাবে ক্রিজের সঙ্গে যোগাযোগ হারান। এছাড়াও নিজেদের ওয়েবসাইটে এমসিসি জানায়, আইনের দৃষ্টিতে আম্পায়ারের রানআউট সিদ্ধান্ত ছিল পুরোপুরি সঠিক।

আরও পড়ুন: ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে আফগান স্কোয়াডে পরিবর্তন

এমসিসির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘২০১০ সালে চালু হওয়া এই আইনটি, যেটি “বাউন্সিং ব্যাট ল” নামেও পরিচিত, তা ব্যাটারকে রক্ষা করে কেবল তখনই, যখন তারা দৌড়ানোর সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যাট মাটি থেকে ওঠে যায় বা দুই পা বাতাসে উঠে যায়। কিন্তু মুনিবার ক্ষেত্রে তা হয়নি। তিনি নিজেই ব্যাট তুলেছিলেন, ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।’

এমসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি স্পষ্টতই রানআউট। ব্যাটার তখন রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন না, এবং বলটি নো বলও ছিল না। উইকেটকিপার নয়, ফিল্ডার সরাসরি থ্রো করে স্টাম্প ভেঙেছেন। সুতরাং আইন অনুযায়ী আম্পায়াররা একদম সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, নারী বিশ্বকাপে আগামী বুধবার (৮ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে পাকিস্তান, আর আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত।


সর্বশেষ সংবাদ