শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল পাকিস্তান
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ AM
শ্রীলঙ্কার গ্রুপ পর্বের জয়রথ এখন যেন সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশের পর পাকিস্তানের কাছেও ৫ হেরেছে লঙ্কানরা। আর পরবর্তী ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে হওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে কার্যত ছিটকেই গেল ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৫ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে পাকিস্তান। এই জয়ে ০.২২৬ পয়েন্টে টেবিলের দুইয়ে উঠলো দ্য গ্রিন ম্যানরা। আর এক ম্যাচ কম খেলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে তিনে নেমে গেল বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। মাত্র পাঁচ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান তুলে ফেলেছিলেন সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। কিন্তু পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দুই ওপেনার ফেরার পরই চাপে পড়ে পাকিস্তান। দ্রুত উইকেট হারাতে হারাতে নবম ওভারেই স্কোরবোর্ড মাত্র ৫৭ রানে ৪ উইকেট। সে সময়ে মামুলি ১৩৪ রানের লক্ষ্যটাও যেন হয়ে উঠেছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সেখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন হুসেইন তালাত। প্রথমে মোহাম্মদ হারিসকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরে যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৩ রান। কিন্তু ইনিংসের ১২তম ওভারে হারিস আউট ফিরলে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।
অবশ্য, সেই চাপকে বেশি দূর বাড়তে দেননি তালাত। ষষ্ঠ উইকেটে নওয়াজের সঙ্গে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন, যা পাকিস্তানকে পৌঁছে দেয় জয়ের দোরগোড়ায়। তালাত ৩০ বলে ৩২ এবং নওয়াজ ২৪ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থেকে স্বস্তির জয় এনে দেন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শুরুতেই কুশাল মেন্ডিসকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শাহিন শাহ আফ্রিদি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ওপেনার। এক ওভার পর বোলিংয়ে এসে আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকেও ফেরান এই পেসার। সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বলে ৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুশাল পেরেরাকে (১২ বলে ১৫ রান) ফেরান হারিস রউফ। অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে বর্তমান ও সাবেক দুই অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকাকে ফেরান হুসাইন তালাত। এর মধ্যে আসালাঙ্কা ১৯ বলে ২০ রান করলেও ডাক মারার বিশ্বরেকর্ড গড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শানাকা। এরপর হাসারাঙ্গা কিছুটা লড়াই করলেও বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে তার ব্যাট থেকে ১৫ আসে।
এতে ১২ দশমিক ১ ওভারে দলীয় ৮৮ রানেই ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলে টুর্নামেন্টের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন কামিন্দু মেন্ডিস ও চামিকা করুণারত্নে। তবে ফিফটি ছোঁয়ার পরই লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন কামিন্দু। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৪ বলে ৫০ রান করেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
এরপর লেজের সারির ব্যাটারের দিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা চালান করুণারত্নে। শেষমেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা।