ইতিহাস লিখতে পারলেন না ওকস, অবিশ্বাস্য জয় ভারতের

ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ
ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ   © সংগৃহীত

সিরিজ জয়ের জন্য শেষ দিনে ইংল্যান্ডের ৩৫ রান প্রয়োজন ছিল, অন্যদিকে ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। টানা দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতের হৃদয় মন্দিরে দুঃখ আরও বাড়িয়েছিলেন জেমি ওভারটন! তবে পরের ওভারেই জেমি স্মিথকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি ফেরান সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মোহাম্মদ সিরাজ।

পরের ১০ রান তুলতেই ফের জোড়া উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এতে শেষ উইকেটে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৭ রান। সে সময়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে ভাঙা কাঁধ নিয়ে মাঠে আসেন ক্রিস ওকস। একপ্রান্তে তাকে আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করছিলেন গাস আটকিনসন। তবে তার এমন লড়াইও ইংলিশ শিবিরে জয়ধ্বনি বইয়ে আনতে পারেনি। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আটকিনসনকে বোল্ড করেন সিরাজ। এতে ৬ রানে জয় পায় ভারত। 

এর আগে, প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে অলরাউট হয়েছিল ভারত। জবাবে ২৪৭ রানে থেমেছিল স্বাগতিকরা। ২৩ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৬ রান গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা। রেকর্ড ৩৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ৩৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড।

৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে শেষ দিনে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড। তবে ২ রানে অপরাজিত থাকা স্মিথ আজ আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি। সিরাজের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে আউট সাইড এইজড হয়ে উইকেটের পেছনে ধ্রুব জুরেলের মুঠোবন্দি হয়ে ফেরেন।

অষ্টম উইকেটে দেখেশুনেই খেলছিলেন ওভারটন ও আটকিনসন। তবে এবারও ইংলিশ শিবিরে ধাক্কা দেন সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ সিরাজ। দিনের শুরুতেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকানো ওভারটনকে (৯) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।

শেষ উইকেটে ইংল্যান্ডের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৭ রান। এর মধ্যে ভাঙা কাঁধ নিয়ে ব্যাটিংয়ে আসেন ক্রিস ওকস। একপ্রান্তে তাকে আগলে রেখেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আটকিনসন। সিরাজের ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ১০ রান তুলে ইংল্যান্ডকে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই রেখেছিলেন তিনি। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে সিরাজের পরের ওভারেই বোল্ড হয়ে যান আটকিনসন।

 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!