অনড় ভারত-পাকিস্তান, সমাধান খুঁজছে বাংলাদেশ
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৯ PM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ PM
আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে ভারত। দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কের জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। পাশাপাশি, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ঢাকায় আয়োজনের বিষয়েও আপত্তি জানায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অবশ্য এসিসি সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ঢাকায় নির্ধারিত সময়েই এজিএম আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর তিনি।
আগামী ২৪ ও ২৫ জুলাই ঢাকায় এসিসির বার্ষিক সভা হওয়ার কথা। সভার মাত্র একদিন বাকি থাকলেও ভারতের অবস্থানে এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি। পাকিস্তানও নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে, বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছে এজিএমের আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ পাঁচটি। এর মধ্যে অন্তত তিনটি সদস্য ইতোমধ্যেই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সভায় অংশ না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বলে আলোচনায় হচ্ছে। এতে আসন্ন এজিএমের আয়োজন ও কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে মঙ্গলবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এজিএম নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
তার ভাষ্যমতে, ‘এসিসি একটা সংস্থা, এশিয়ার পাঁচটা পূর্ণ সদস্য এবং ২৫টা সহযোগী দেশ নিয়ে এটা কাজ করে। এসিসি আমাদের কাছে প্রস্তাব করেছিল, এজিএমটা (বার্ষিক সাধারণ সভা) আয়োজন করতে চাই কি না, আমরা সেটাতে রাজি হয়েছি। এটা এসিসির প্রোগ্রাম। আমরা শুধু লজিস্টিক সাহায্য করব।’
অন্যদিকে বুধবার (২৩ জুলাই) বিসিবি সভাপতির সঙ্গে মহসিন নাকভির একটি সভা রয়েছে। সেখানকার আলোচ্য বিষয় নিয়ে বুলবুল বলেন, ‘পাকিস্তানের (পিসিবি) সভাপতি এসিসির সভাপতি। যেহেতু এটা তার প্রোগ্রাম, তবে তার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়ানো যায় কি না এবং ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা (করব)।’
ভারতসহ তিনটি পূর্ণ সদস্য দেশকে বাদ দিয়ে এসিসির সভা করলে বাংলাদেশ ক্রিকেটীয় ভূ-রাজনীতিতে কোনো সমস্যায় পড়বে কি না প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমার মনে হয় না। ক্রিকেট সবার ওপরে। আমরা শুধু আয়োজক। এর আগে আমরা কখনো আয়োজন করিনি। আমরা চেষ্টা করব, একটা ভালো এজিএম যাতে হয়।’