বাংলাদেশে আসতে ভারতকে চাপ দিচ্ছে পাকিস্তান
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৪ PM , আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৪:২০ PM
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ভেন্যু নির্ধারিত হলেও, এ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার পর, সভার ভেন্যু পরিবর্তনের জন্য আবেদন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
তবে বিসিসিআইয়ের সেই অনুরোধে সাড়া দেননি এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি—এমন অভিযোগ ভারতীয় বোর্ডের। যে কারণে এসিসির এজিএম বয়কট করতে পারে বিসিসিআই।
৬ জাতির এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। কিন্তু এখনও ভেন্যু কিংবা এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করেনি এসিসি। তবে, অঘোষিতভাবে শোনা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বরে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ নিয়ে ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এসিসি’র বার্ষিক সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে ইন্ডিয়া টুডে আরও জানিয়েছে, ভারতের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশ এ সভা বর্জন করেছে। যাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং ওমান রয়েছে।
বিসিসিআইয়ের ধারণা, ঢাকায় এসিসির বার্ষিক সভা হলে পাকিস্তান বাড়তি সুবিধা পাবে। তাই, এই সভা সরিয়ে নিতে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওমানের ক্রিকেট বোর্ডকেও রাজি করিয়েছে ভারত। তবে এসব বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
বিসিসিআইয়ের এক সূত্র দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, 'ঢাকায় সভা হলে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে সিদ্ধান্ত আসা সম্ভব নয়। এসিসি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি ভারতের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। আমরা সভার স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি। ঢাকা সভা হলে বিসিসিআই সব প্রস্তাব বর্জন করবে।'
অন্যদিকে বোর্ডগুলোর এমন অবস্থানে শঙ্কার মুখে পড়েছে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ। এসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বার্ষিক সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য দেশগুলোর উপস্থিতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ফলে, ভারতসহ একাধিক বোর্ড সভায় অংশ না নিলে এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল হয়ে উঠতে পারে।
শেষ পর্যন্ত বিসিসিআই যদি সভা বয়কটের সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তবে এবারের এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েও শঙ্কা তৈরি হতে পারে। এর আগে, ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান, কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে টুর্নামেন্টটি হাইব্রিড মডেলে মাঠে গড়ায়। সে সময় রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছিলেন। চলতি বছরও একই চিত্র দেখা গেছে। পাকিস্তানে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আবারও হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভারতের ম্যাচসহ ফাইনালও দুবাইয়ে হয়।