বিসিবিতে দুদকের অভিযান শেষে যা জানা গেল
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ১৮ মে ২০২৫, ০৪:৫৭ PM
বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান পরিচালনা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল এই অভিযান পরিচালনা। সেই অভিযানের এক মাস না পেরোতেই ফের বিসিবিতে হাজির দুদক।
শনিবার (১৭ মে) দুপুর একটার দিকে দুদকের ৪ সদস্যের একটি দল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হাজির হয়। এবার নতুন গঠনতন্ত্র, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাইপর্ব এবং আর্থিক অনিয়ম নিয়ে এসেছিল প্রতিনিধি দলটি। প্রাথমিক তদন্তে তৃতীয় বিভাগ লিগের বাছাইয়ে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে দুদক।
তবে আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাচ্ছে না দুদক। বিসিবির সব প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘অভিযানের বিষয় ছিল তৃতীয় বিভাগের বাছাইপ্রক্রিয়া, নতুন গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য বিভিন্ন আর্থিক অভিযোগ নিয়ে আমরা এখানে আসছি। সেই অভিযোগের আলোকে আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করে সকাল থেকে সেগুলো পর্যালোচনা করলাম। আমরা সবার সঙ্গে কথা বললাম। আমরা সব কাজ এখনও শেষ করতে পারিনি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।’
তদন্তে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেছে কি না, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের যে বাছাই প্রক্রিয়া, সেটা একসময় ছিল বেশ সহজ প্রক্রিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২২ সালের পর কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, সেখানে ২-৩টার বেশি দল অংশগ্রহণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এটা অনেক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে যাচ্ছে। তাতে আমাদের জাতীয় দলের জন্য ভালো খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইনটা খুবই সীমিত হয়ে যায়। এই বিষয়টাকেই আমরা ফোকাস করেছি।’
বাছাই নিয়ে দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দেখেছি এখানে এমন কিছু শর্তাদি দেয়া হয় যেটা আমাদের দেশের ক্লাবগুলোর জন্য, আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসে তাদেরকে সহযোগিতা করার যে পথ সেগুলো রুদ্ধ করা হয়েছে।’
বিসিবির গঠনতন্ত্রে অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিসিবি যে গঠিত হয়েছে, এটা একটা গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত হয় সেই গঠনতন্ত্র কতটা বৈধ এবং সিদ্ধ সেটা আমরা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে গঠনতন্ত্রে৷ কিছু অসঙ্গতি আছে। এখানে গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেখানে আদালতের একটা রায় ছিল। সেই রায় অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়ে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে। গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা শেষে আমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছি, একটা অর্গানাইজড উপায়ে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল বিসিবি। কিন্তু এই জায়গাতে আমরা অসঙ্গতি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সঠিক চাকরি বিধিমালা নেই। একটা প্রতিষ্ঠান যেভাবে সুগঠিত থাকার কথা সেটা এখানে নেই। এই বিষয়টা আমরা আরো পর্যালোচনা করতে চাই। এটা নিয়ে আদতে কোনো কাজ করা হয়েছে কিনা ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা কী, বিগত সময়ে কেন এটা ঠিক করা হয়নি সেই বিষয়গুলো আমরা খুঁজে বের করব। এগুলোর আলোকে আমরা একটা রিপোর্ট করব। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’