পাথর মেরে হত্যা: কিসাস চাইলেন আহমাদুল্লাহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:২১ PM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৬ AM
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সারাদেশ। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক সাহায্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান। কিসাস অর্থ সমপরিমাণ শাস্তি। যেভাবে যতটুকু জুলুম হবে, ঠিক সেভাবে ততটুকু প্রতিকার করা হলো কিসাস। কেন কুরআনে কিসাসের কথা বলেছে, তা আমরা দেয়ালে পিঠ ঠেকলে উপলব্ধি করতে পারি।
এ ধরণের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিচার সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে বছরের পর বছর ধরে বিচার কাজ চললে, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পাওয়ার পথ খোলা থাকলে এ ধরনের অপরাধ কখনো কমবে না।’
কিসাসের বিধান নিয়ে মানবজীবন রক্ষার হাতিয়ার ও রক্ষাকবচ। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, 'এবং হে বুদ্ধিমানেরা! তোমাদের জন্য কিসাসের ভেতর রয়েছে জীবন (রক্ষার ব্যবস্থা)। আশা করা যায় তোমরা (এর বিরুদ্ধাচরণ) পরিহার করবে।' (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭৯)
অন্য এক আয়াতে উল্লেখ, 'এবং আমি তাতে (তাওরাতে) তাদের জন্য বিধান লিখে দিয়েছিলাম যে, প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান ও দাঁতের বদলে দাঁত। আর জখমেও (অনুরূপ) বদলা নেওয়া হবে। অবশ্য যে ব্যক্তি তা ক্ষমা করে দেবে, তার জন্য তা গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। যারা আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান অনুসারে বিচার করে না, তারা জালেম। (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৪৫)
ইসলামে কিসাস মাফ করার অধিকার রয়েছে কেবল নিহতের ওয়ারিসগণের। অন্য কারো নিজের পক্ষ থেকে হত্যাকারীকে ক্ষমা করার বা শাস্তি পরিবর্তন করার কোনো অধিকার নেই। কোনো রাষ্ট্রের আইনে যদি খুনিকে ক্ষমা করে দেয়ার অধিকার রাষ্ট্রপ্রধানকে দেয়া থাকে আর সে ক্ষমতাবলে খুনিকে তিনি ক্ষমা করে দেন, তবে দেশীয় আইনে সে ক্ষমা পেয়ে গেলেও আল্লাহর আইনে সে ক্ষমা পাবেন না।