ছাত্রাবাসে গাঁজা সেবনকালে আটক তিন ছাত্র, সংবাদ প্রকাশে প্রশাসনের বাধা
- রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০১:২২ AM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫, ১১:১৮ AM
রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে গাঁজা সেবনের সময় তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশে সরাসরি বাধা প্রদান করেছে কলেজ প্রশাসন। পাশাপাশি সংবাদ প্রকাশ করলে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। এতে কলেজ সাংবাদিকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের ইন্টারমিডিয়েট ভবনের ৪০৫ নম্বর কক্ষে গাঁজা সেবনের সময় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থীদেরকে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে যায় এবং বাধা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলেও পরে তাদের ছাত্রাবাসের অফিস কক্ষে ফিরিয়ে আনা হয় এবং মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা অফিস রুমে প্রবেশ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি অসহযোগিতামূলক আচরণ করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বিষয়ে কোনো সংবাদ যেন প্রকাশ না করা হয়। সংবাদ প্রকাশ করলে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের অবস্থান
এদিকে গাঁজা সেবনরতদের মধ্যে দুইজন বর্তমানে ছাত্রাবাসে আবাসিক নন, তারা পূর্বে আবাসিক ছিলেন। আর বাকিজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এসময় অফিস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. যহুর আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী, ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ড. শাহ মো. মাহবুব আলমসহ দায়িত্বরত শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ড. শাহ মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা তাদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বিবেচনায় সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বুধবার (১৮ জুন) জানানো হবে।’
রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪০৫ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তিনজনকে আটক করি। তারা গাঁজা সেবনের কথা স্বীকার করেছে। অতিরিক্ত গাঁজা পাওয়া যায়নি। তাদের অভিভাবকদের ডেকে সতর্ক করা হবে এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে কলেজ ও ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।