ভাঙ্গুড়ায় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে ৪ জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি
- ভাঙ্গুড়া(পাবনা) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ PM
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে চার জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। স্বর্ণ ও নগদ টাকাসহ প্রায় কোটি টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারের এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অষ্টমনিষা বাজারের আঁখি, মা, মধু ও উত্তম জুয়েলার্স দোকানগুলো পাহারা দেন তিন নৈশপ্রহরী। বুধবার গভীর রাতে রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অষ্টমনিষা বাজারে প্রবেশ করেই নৈশ প্রহরীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন।
পরে আখি জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স ও মধু জুয়েলার্স পাশাপাশি থাকায় দোকানগুলিতে তালা কেটে প্রবেশ করে এবং স্বর্ণ-নগদ টাকা লুট করতে থাকে। পাশে থাকা উত্তম জুয়েলার্সেরও তালা কেটে তারা দোকানের ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখান থেকেও স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নেয়।
দোকানে থাকা সিন্দুক ভাঙতে না পেরে দোকানের উপর তলাতে থাকা মালিক রঞ্জন কর্মকারকে ধরে শারীরিক নির্যাতন করে সিন্দুকের চাবি নিয়ে নেয়, সিন্দুকে রাখা সোনা ও টাকা নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আখি জুয়েলার্স-এর ১৫ ভরি সোনা, ১৭০ ভরি রুপা ও নগদ টাকা, মা জুয়েলার্স ১৪ ভরি সোনা ও ৪০ হাজার টাকা, মধু জুয়েলার্সে ৫ ভরি সোনা, ৩ লাখ নগদ টাকা ও ২০০ ভরি রুপা, উত্তম জুয়েলার্সের বারো ভরি সোনা, ১৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে রতন কর্মকার বলেন, আনুমানিক রাত ২টার দিকে আমরা বাসার গেটে প্রচন্ড শব্দ করে ডাকাডাকি শুরু হয়। বাড়ির মধ্য থেকে তারা কে জানতে চাইলে ডাকাত দল নিজেদেরকে প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেন। তারপরও আমি বাড়ির গেট খোলেনি।
আঁখি জুয়েলার্স-এর স্বত্বাধিকারী আত্তাব জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দোকানে এসে দেখেন তার দোকানে কিছু নেই। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
মা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী বলেন, আমি অনেক টাকা ঋণ করে দোকান করেছিলাম, আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। মধু জুয়েলার্সের তপন কর্মকার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘সোনা ও নগদ টাকাসহ আমার প্রায় ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে ডাকাত দল।’
ঘটনার বিষয় ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ভোরে ডাকাতি হওয়া দোকানগুলি ও এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডিবি ঘটনাটির স্থান পরিদর্শন করে তদন্ত করবেন বলেও জানান তিনি।
ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে উপজেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা নিয়ে কয়েকটি টিম কাজ করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’