কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে মৃত ইরাবতী ডলফিন। পরে সেটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে মৃত ইরাবতী ডলফিন। পরে সেটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়   © টিডিসি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের ভেসে এসেছে ইরাবতী প্রজাতির একটি মৃত ডলফিন। এটির শরীরের চামড়া উঠে গেছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সৈকতের গঙ্গামতি এলাকায় মৃত অবস্থায় ডলফিনটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা খবর পেয়ে বন বিভাগের সহযোগিতায় মৃত ডলফিনটি মাটিচাপা দেন।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই এলাকার ফরেস্টার ঢালা-সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির ডলফিন ভেসে আসে। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি, ২০২৪ সালে ১০টি এবং ২০২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে, যা সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, ডলফিনটি দেখে মনে হচ্ছে দুই দিন আগে মারা গেছে। সকালে জোয়ারের প্রভাব উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে ডলফিনটি তীরে ভেসে আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শরীরের চামড়া উঠে গেছে। দুর্গন্ধে কাছে ঘেষা যাচ্ছে না। ডলফিনটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ডলফিন রক্ষায় আরও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। মানুষের অসচেতনতা ও সামুদ্রিক দূষণ এর প্রধান কারণ হতে পারে।

বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই মৃত ডলফিন ভেসে আসে। তবে উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী ডলফিন রক্ষা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কিছুদিন পরপর আমাদের কাছে মৃত ডলফিনের খবর আসে। খবর পেয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ