হয়রানির প্রতিবাদে পাবনায় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
- পাবনা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৬ PM
পাবনায় প্রশাসনের অভিযানে বারবার হয়রানির অভিযোগ তুলে দুই ঘণ্টা সব ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ ও পথসভা করেছেন স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচি পালন করে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ ও সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
পথসভায় ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলেন, ঔষধ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃক নানা সময়ে অভিযান পরিচালনা করে আর্থিক জরিমানা ও আমদানি করা হারবাল, ইউনানি মেডিসিন তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ওষুধের গায়ে ড্রাগ লাইসেন্স কেন থাকছে না, সেটি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। তবে চিকিৎসক যখন ওই সব ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখছেন বিধায় তারা দোকানে বিক্রি করছেন। চিকিৎসক যদি না লিখত, তা হলে তারা এই ওষুধ বিক্রি করতেন না।
ওষুধ ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রশাসন চিকিৎসকদের কিছু বলছে না, ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে। তাই প্রশাসনের এই বৈষম্যমূলক আচরণ ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে দুই ঘণ্টা ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে এই বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সমস্যার সমাধান যদি না হয় তা হলে আগামী দিনে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। পথসভা শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের অভিযোগগুলো শুনলাম। অভিযোগের বিষয় নিয়ে পাবনার সিভিল সার্জন, ড্রাগ সুপার তাদের নিয়ে বসে আরও আলোচনা করব। এখানে যার যার গাফিলতি আছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। ওষুধ ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেছি। তারা দোকান খুলে দিয়েছেন। আশা করছি তাদের সমস্যার সমাধান হবে।’
পাবনা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে আমি আজকে গিয়েছিলাম হাসপাতালের সামনে ওষুধের দোকান ভিজিটে। সেখানে ওষুধের দোকানে অনুমোদনহীন ফুড সাপ্লিমেন্ট পাই। যা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই। ব্যবসায়ীদের নিষেধ করা হয় এগুলো রাখবেন না, সরিয়ে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা তখন বলেছিলেন আগে ডাক্তারদের ফুড সাপ্লিমেন্ট প্রেসক্রিপশন লেখা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু ডাক্তারদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঔষধ প্রশাসনের এখতিয়ার নেই। তাদের বলেছি, ডাক্তারদের লেখা প্রেসক্রিপশন দিলে আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে কী করা যায় দেখব।’