চাল পেতে কার্ডে ঘুষ, বরখাস্ত ২

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ  © টিডিসি

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা খাদ্য অফিস। বরখাস্তকৃতরা হলেন—উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক রুমানা আক্তার ও নিরাপত্তা প্রহরী সুফিয়া বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস চত্বরে বসেই নতুন কার্ডের জন্য জনপ্রতি ৫০০ টাকা এবং পুরোনো বা ছেঁড়া কার্ডের জন্য ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। অথচ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ হওয়ার কথা। 

গত ২৭ জুলাই সকাল থেকেই গফরগাঁও উপজেলা খাদ্য অফিসের সামনে শত শত মানুষ জড়ো হন কার্ড নিতে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৪১ জন ডিলারের মাধ্যমে মোট ২৬ হাজার ২৭টি কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণ করা হয়।

ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, নতুন কিংবা পুরোনো—যে কার্ডই হোক, অফিসের ভেতরে টাকা না দিলে কার্ড মিলছিল না। অফিসের ভেতরে বসেই টাকা নিয়েছেন রুমানা আক্তার ও প্রহরী সুফিয়া বেগম। কার্ডের বিনিময়ে প্রতি উপকারভোগী মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পেয়ে থাকেন।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, এই অনিয়মে ৪১ জন ডিলার ও খাদ্য অফিসের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গফরগাঁও  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ফারুক পাশের রুমে থাকলেও  সবকিছু জেনেও না জানার অভিনয় করেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ফারক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই অফিসের সামনে তো কত কিছুই হয়, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। তাছাড়া আমি ভালুকায় কর্মরত গফরগাঁও  উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করি। 

ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, টাকার বিনিময়ে কার্ড বিতরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ