পিরোজপুরে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা, নেপথ্যে জমি নিয়ে বিরোধ

বৃদ্ধার বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন
বৃদ্ধার বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন  © টিডিসি

‎পিরোজপুর সদর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে গলা কাটা অবস্থায় রোকেয়া বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি একাই বসবাস করতেন। পরিবারের দাবি, পুরোনো জমিসংক্রান্ত বিরোধই হয়তো এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে। ইতোমধ্যে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের বৈরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

‎প্রত্যক্ষদর্শী রেবেকা বেগম  বলেন, রোকেয়া বেগম একাই বসবাস করতেন। প্রতিদিন সকালে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকাডাকি করে খোঁজ নিতেন। আজ সকাল ৯টার পর সাড়া না পেয়ে পাশের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন তারা। তখনই তারা ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় রোকেয়া বেগমের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

‎রোকেয়া বেগমের স্বামী মারা গেছেন। তার দুই ছেলে—লিটন হাওলাদার ও মহসিন হাওলাদার। ছোট ছেলে মহসিন বিদেশে অবস্থান করছেন আর বড় ছেলে লিটন হাওলাদার একই এলাকায় আলাদা বাড়িতে থাকেন। মেয়ে মাহফুজা আক্তার থাকেন স্বামীর বাড়িতে।

‎বৃদ্ধার ছেলে লিটন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের একই এলাকার রুমান হাওলাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। তবে এ ছাড়া আমাদের কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না।’

‎পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

‎ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ