সবুজ বনে বিছানো নরম ঘাসের সঙ্গে সাগরের হাতছানি নিদ্রার চরে
- মেহেদী হাসান, বরগুনা
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ১২:২০ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৭ PM
একদিকে বঙ্গোপসাগর, অন্যদিকে নদী মোহনা। মাঝে সবুজ কেওড়া ও ঝাউবন। সাগরের জোয়ার-ভাটার খেলায় নরম সবুজ ঘাসের চাদরে ঢাকা প্রান্তর, যা তৈরি করেছে স্বপ্নময় এক পরিবেশ। জায়াগাটির নাম নিদ্রার চর বা নিদ্রার সৈকত। এ নামকরণ মূলত এর নির্জনতা ও নীরবতা থেকেই এসেছে।
সৈকত সৌন্দর্যের জেলা বরগুনার তালতলি উপজেলায় রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। এখানে একদিকে রয়েছে রাখাইন পল্লী। অন্যদিকে রয়েছে শুভ সন্ধ্যা সৈকত, টেংরাগিরি বনাঞ্চল। আর অন্যদিকে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে নিদ্রার চর বা নিদ্রা সৈকতকে ঘিরে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক ভিড় করে এ চরে।

তালতলী উপজেলা সদর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরের চরটি প্রতিদিনই দূর-দূরান্তের প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সৈকত। তবে স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৫-৭ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এটি বিস্তৃত। বর্ষাকালে কিছু অংশ প্লাবিত হলেও শীতকালে এটি হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয় এবং মনোমুগ্ধকর।
পর্যটকরা জানান, এ জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কল্পনার চেয়েও বেশি। কেউ কেউ বলছেন, বন, সমুদ্র, রাখাইন পল্লী—সব একসঙ্গে ঘুরে দেখা যায়। এখানে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া যায়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করা গেলে ‘নিদ্রার চর’ হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।

যদিও অবকাঠামোগত সংকট এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। পর্যটকদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, রাস্তা ভাঙাচোরা হওয়ায় বাইক বা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত কষ্টকর। নেই কোনো আবাসিক হোটেল কিংবা মানসম্মত খাবারের দোকানও। এক পর্যটক বলেন, রাস্তা খুব খারাপ। হেঁটে আসতে হয়। থাকার বা খাওয়ার কোনো সুব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম বলেন, ‘তালতলীতে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক থেকে তালতলীতে যে সড়কটি ঢুকেছে, তার সম্প্রসারণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণে এটি পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমরা আশাবাদী।’