মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তিতে পৃথক আবেদন ফি নয়, বিজ্ঞপ্তি কখন?

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © সংগৃহীত

আগামীকালের মধ্যে ২০২৫-২৬ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ভর্তি আবেদনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ থেকে ১৮ অক্টোবর। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এক প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় এবার দুই কোর্সের পৃথক আবেদন ফি’র প্রয়োজন হচ্ছে না। বরং ১ হাজার টাকা আবেদন ফি দিয়ে চাইলে মেডিকেল ও ডেন্টালের পৃথক দুই কোর্সের জন্য পরীক্ষা দিতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন ও পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানান, দুয়েকদিনের মধ্যে মেডিকেলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। আবেদেনের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ থেকে ১৮ অক্টোবর। আবেদন ফি আগের মত ১ হাজার টাকাই নির্ধারণ করা হয়েছে।

তারা বলেন, ‘তবে আগে এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষা ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হত, তখন পৃথক আবেদনের কারণে আলাদাভাবে আবেদন ফি দিতে হত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। এবার এক প্রশ্নেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এক আবেদনেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। অর্থাৎ আগে মেডিকেল ও ডেন্টালে অংশ নিলে একজন শিক্ষার্থীর ২০০০ টাকা খরচ হত, এবার ১ হাজারেই সে সুযোগ পাবে।’

এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, এবার মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি আবেদনের সময় তিনটি অপশন থাকবে। একটি শুধু মেডিকেল, আরেকটি মেডিকেল+ডেন্টাল, আর শেষ অপশন হিসেবে থাকবে শুধু ডেন্টাল। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত অপশন দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

সূত্রমতে, কোনো শিক্ষার্থী যদি আবেদনের সময় শুধু মেডিকেল অপশন দেয়, তাহলে তার সামনে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজ আসবে। কেউ যদি শুধু ডেন্টাল দেয়, তাহলে তার সামনে ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট মিলিয়ে ৯টি প্রতিষ্ঠানের নাম দেখাবে। আর কেউ যদি মেডিকেল+ডেন্টাল অপশন ক্লিক করে তাহলে তার সামনে মোট ৪৬টি প্রতিষ্ঠান আসবে। এখানে তিনি তার পছন্দক্রম দেবেন।

সূত্র আরও জানায়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মানহীন এবং সক্ষমতা নেই এমন বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের আসন কমানো হয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি মেডিকেলে ৪০৮টি এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৪০৮টি আসন কমানো হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮১৬টি আসন কমেছে।

ইতোমধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। নীতিমালা অনুযায়ী, এবার ২০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর যাচাই হবে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএর ভিত্তিতে। এ ছাড়া আবেদনের জন্য ওই দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ সর্বনিম্ন ৮.৫০ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ৩.৫০ পেতে হবে। তবে পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে জিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.০০।

এবার ২০২৪ ও ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা মেডিকেলে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সাধারণ সেকেন্ড টাইম ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রে ৩ নম্বর এবং মেডিকেলে ভর্তি থাকা সেকেন্ড টাইম ভর্তিচ্ছুদের ক্ষেত্রে ৫ নম্বর কাটা হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে ০.২৫ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থবিজ্ঞানে ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলীর মূল্যায়নে ১৫ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশমার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০। পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।

এ ছাড়া এবার ভর্তির ক্ষেত্রে পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ১ এবং অসচ্চল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এ ছাড়া বিদেশি প্রার্থীদের মধ্যে সার্কভুক্ত দেশের জন্য মোট ১২৫ ও নন-সার্কভুক্ত দেশের জন্য ৯৯টিসহ মোট ২২৪টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ