বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
আগে আউট অব সিলেবাসে পরীক্ষা হতো, এখন হয় না
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৭ PM , আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৬ PM
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আগে পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে প্রশ্ন তৈরি করা হতো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সে অবস্থান থেকে সরে এসে এখন অনেকটাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যনির্ভর হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয় এসএসসি ও এইচএসসির পাঠ্যপুস্তক থেকে।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিনিধিত্ব করে আলোচনায় আসা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক আবিদুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
এইচএসসির ফল খারাপ হলে কিংবা জিপিএ-৫ না হলে ভর্তি পরীক্ষায় কেমন প্রভাব পড়ে—এমন প্রশ্নের জবাবে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যে যোগ্যতা দিয়ে রাখে, এতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। এইচএসসির সামগ্রিক ফলে জিপিএ কম হলেও ভর্তির ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এখন এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ওপর ২০ নম্বর থাকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়মও নেই।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সময় স্বল্পতার বিষয়ে আবিদুর বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। তিন মাস পড়াশোনার জন্য যথেষ্ট সময়। কারণ আগে যেভাবে অ্যাডমিশনের প্রশ্নপত্র হতো ‘আউট অব সিলেবাস’, এখন এ রকম না। এখন সবকিছু পাঠ্যবইনির্ভর। সাধারণ জ্ঞান একটু বাইরে থেকে আসে, এটার জন্য এভারেজ সবারই প্রস্তুতি থাকে। ফলে তিন মাসের প্রস্তুতিতে ভর্তি অবশ্যই সম্ভব।’
এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেডিকেলসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে আসার আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সুবিধার্তে আগামী ডিসেম্বরের শেষার্ধে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আবিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমার আহ্বান থাকবে ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির শুরুর দিকে যেন পরীক্ষাটা নেওয়া হয়। ফলাফল নির্বাচনের আগে প্রকাশ করা যাবে। এতে খুব বড় অসুবিধা হবে না।’