রাত জেগে পড়া নাকি সকালে পড়া কোনটা কার্যকরী?

রাতে ও দিনে পড়া
রাতে ও দিনে পড়া  © টিডিসি সম্পাদিত

অনেক শিক্ষার্থী রাত জেগে পড়তে পছন্দ করেন আবার কেউ কেউ পড়ার জন্য সকালের সময়টাকে বেশি উপযোগী বলে মনে করেন। আসলে কোন সময়টাতে পড়া বেশি কার্যকরী তা নির্ভর করে ব্যক্তির বায়োলজিক্যাল ঘড়ি, মনোযোগের ধরন এবং পড়ার অভ্যাসের ওপর। 

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আমাদের স্মৃতি গঠনের তিনটি ধাপ রয়েছে—এক্যুইজিশন, কনসলিডেশন এবং রিকল। এর মধ্যে প্রথম দুইটি ধাপ ঘটে আমরা জেগে থাকা অবস্থায়, আর শেষ ধাপ সম্পন্ন হয় ঘুমের মধ্যে। ঘুমের সময় মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস দিনের শিখনকৃত তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে স্মৃতিতে রূপান্তরিত করে। তাই আগের দিনের শেখা বিষয়গুলোর অনেক কিছুই আমাদের মনে থাকে। এক্ষেত্রে যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে এ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাই রাতের ঘুমটা খুবই কার্যকর। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সময়কে শেখার জন্য উপযুক্ত ধরা হয়। আবার অনেক গবেষক ভোর ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত সময়কে গভীর মনোযোগের জন্য আদর্শ বলেছেন।

রাতের শান্ত পরিবেশে মনোযোগ কম বিভ্রান্ত হয়। এক্ষেত্রে রাতের পড়া কিছুটা কার্যকর হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের অভাবে ক্লান্তি, মনোযোগ কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অন্যদিকে, সকালে পড়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক সাধারণত সতেজ থাকে, এতে পড়ায় বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়। কিন্তু এখানে শর্ত হলো- পর্যাপ্ত ঘুম। রাতে  পর্যাপ্ত ঘুম যদি না হয়, সকালে পড়াশোনায় মনোযোগ বসবে না।

তবে, অনেকেই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। তাই আপনি যখন মনোযোগ বেশি দিতে পারবেন সেটাই আপনার পড়ার সেরা সময়। এক্ষেত্রে শর্ত হলো- পর্যাপ্ত ঘুম।


সর্বশেষ সংবাদ