একক ভর্তি পরীক্ষা: সাব কমিটিতে যুক্ত হলো ঢাবি-রাবির প্রতিনিধি

লোগো
লোগো  © ফাইল ফটো

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় সরকার। এজন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি হলো মূল কমিটি; আরেকটি সাব কমিটি। এই সাব কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে।

সাব কমিটিতে ঢাবির দুইজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে একজন ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এবং অন্যজন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর)। এছাড়া রাবির যে প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে, তিনি বর্তমানে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, একক ভর্তি পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে সেটি চূড়ান্ত করতে সাব কমিটি একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়া নিয়ে গতকাল রবিবার ইউজিসিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সভায় উপস্থিত এক অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একক ভর্তি পরীক্ষার পরীক্ষা কাঠামোর উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এজন্য ঢাবি-রাবির প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হয়েছে। সবাই মিলে এমন একটি পরীক্ষা কাঠামো তৈরি করা হবে যা বর্তমানে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো হবে। ভালো না হলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখানে আসতে আগ্রহী হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গঠিত মূল কমিটির দায়িত্বে থাকা ইউজিসি সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. হাসিনা খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একক ভর্তি পরীক্ষার পরীক্ষা পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে আরও সভা করতে হবে। আশা করছি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষার কাঠামো চূড়ান্ত করা যাবে।

সূত্র বলছে, একক ভর্তি পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে তৈরিকৃত খসড়ায় দুই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এর মধ্যে একটি হলো- কম্পিউটার বেজড টেস্ট। আর অন্যটি হলো- প্রচলিত পদ্ধতিতে অর্থাৎ খাতার মাধ্যমে মূল্যায়ন। প্রাথমিকভাবে খাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতে পারে। পরবর্তীতে কম্পিউটার বেজড মূল্যায়নের দিকে যাবে কমিটি। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

পরীক্ষা পদ্ধতির খসড়া তৈরির সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে তিনটি ট্র্যাকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা। তিনটি ট্র্যাকের ক্ষেত্রেই কমন কিছু বিষয় থাকবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- ভাষা। এ বিষয়ে দক্ষতা নির্ণয় করতে সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর করতে হতে পারে।

বাংলা ও ইংরেজির উত্তর বাধ্যতামূলক হলেও বিভাগভিত্তিক অন্যান্য বিষয়েও পরীক্ষায় উত্তর করতে হবে। বিভাগভিত্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পঠিত বিষয় প্রাধান্য থাকবে। অর্থাৎ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন বেশি থাকবে। এর পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজিও থাকবে।

গত ৩১ অক্টোবর ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক পর্যায়ে ‘কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ-২০২৩’এর খসড়া চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ইউজিসি। তবে সেটি সে সময় চূড়ান্ত করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি পাঠানো হয়নি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়েও। পরবর্তীতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর একক ভর্তি পরীক্ষা সম্ভব নয় জানিয়ে ইউজিসিতে চিঠি পাঠানো হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ