ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকের ডাক পাকিস্তানের
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৮:৫৩ AM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:১১ PM
ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে আটজন নিহত হওয়ার পর দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি জরুরি বৈঠকে বসছে। আজ বুধবার (৭ মে) সকালে স্থানীয় সময় ১০টায় ইসলামাবাদে শুরু হবে এই বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। উপস্থিত থাকবেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতীয় হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক বিবৃতিতে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সত্যিই কি ভারতের ৫ বিমান ধ্বংস করেছে পাকিস্তান?
এর আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত একযোগে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার জবাব হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়।
ভারতের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, সময় ও স্থান বেছে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-ভারতের পাল্টাপাল্টি হামলা, কোন দেশের কতজন মারা গেলেন?
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা তীব্র হয় ২২ এপ্রিল, যখন জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে এই হামলার জন্য দায়ী করে। এরপর থেকেই সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতের দিকে ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্রে এগিয়ে পাকিস্তান, সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীতে কার কত অস্ত্র?
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক মহলও। দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংস্থা।