ক্লাসে ফেরার দাবিতে ঢাবিতে এসেছিলেন অধ্যাপক জামাল, যা আছে ৭ দফার স্মারকলিপিতে

১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ PM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ PM
নীল দলের একাংশের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন

নীল দলের একাংশের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কর্মক্ষেত্র থেকে বিরত রাখা শিক্ষকদের অবিলম্বে নিয়মিত অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের একাংশ। এ ছাড়া ‘মব সন্ত্রাস’ বন্ধসহ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।  আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপিতে সাত দফা দাবি জানান তারা।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন নীল দলের একাংশের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন। আজই এসব দাবি জানাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থী নীল দলের আলোচিত এ শিক্ষক। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের নীল দলের আরেক শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদা। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষককে বিগত ১৫ মাস যাবৎ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে জোরপূর্বক বিরত রাখা হয়েছে। এর ফলে তারা বাস্তবে একপ্রকার গৃহবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বাংলাদেশের জনগণের জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের তীর্থভূমিখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসানে তারা সাত দাবি জানিয়েছেন। 

দাবির মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে কর্মক্ষেত্র থেকে অন্যায়ভাবে বিরত বা বয়কটে রাখা সকল শিক্ষককে নিয়মিত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে হবে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩ অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং অবিলম্বে সিনেট, সিন্ডিকেট ও ডিন নির্বাচন করে শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ঢাবি অধ্যাপক আ ক ম জামাল

সিন্ডিকেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিধি মোতাবেক পূর্ববর্তী নির্বাচনে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত ৬ জন সিন্ডিকেট সদস্যকে অবিলম্বে সিন্ডিকেটের সকল সভায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক সমিতির কার্যক্রম সক্রিয় রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে; রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে শত শত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে, অবিলম্বে এসকল শিক্ষার্থীকে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কর্ম সুরক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; সব সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একটি পবিত্র, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক বিরাজমান ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে যারা বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে সেই সম্পর্ক নষ্ট করল, তাদের চিহ্নিত করে এসব অশুভ তৎপরতা চিরতরে বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও আবাসিক অঙ্গনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মব সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার থেকে যে পথে নেওয়া হবে
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
আসন ছেড়ে দেওয়া জামায়াত প্রার্থীর বাসায় নাহিদ ইসলাম
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতার্ত দুস্থদের মাঝে এনসিপি নেতার কম্বল বিতরণ
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ডিজে পার্টি ও আতশবাজি বন্ধসহ যেসব বিধি…
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্রসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫