নীলফামারীতে পদোন্নতির দাবিতে বিসিএস ক্যাডারদের কর্মবিরতি

কর্মবিরতিতে বিসিএস পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকরা
কর্মবিরতিতে বিসিএস পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকরা  © টিডিসি

সারা দেশে একযোগে শুরু হওয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে নীলফামারীতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি কলেজের পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষকরা। তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের ব্যানারে রবিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

এদিন নীলফামারী সরকারি কলেজে প্রভাষকরা মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন। কর্মসূচি চলাকালে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের আহ্বায়ক ও আররি বিভাগের প্রভাষক ড. মো. ফরহাদ উল ইসলাম, সদস্যসচিব ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক আবু বকর সিদ্দিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোনাব্বেরুল হাসান।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, তারা তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মসূচি পালন করছেন। দাবিগুলো হলো পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করা; শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা ২০০০ বিধির আওতায় জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির তারিখ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা ও আটকে থাকা প্রভাষকদের পদোন্নতির জন্য অবিলম্বে সরকারি প্রজ্ঞাপন (জিও) জারি করা।

পরিষদের সদস্যসচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘৩২তম ব্যাচ থেকে শুরু করে ২৭তম ব্যাচ পর্যন্ত বহু যোগ্য প্রভাষক দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি পাননি। এর ফলে তারা সামাজিকভাবে মর্যাদা হারাচ্ছেন। আমরা কেন পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি? আমরা সরকারের কাছে আমাদের এই ন্যায্য দাবিগুলো দ্রুত পূরণের আহ্বান জানাই।’

পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. ফরহাদ উল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, “এটি আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নীলফামারীতে আমাদের এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ‘নো প্রোমোশন, নো ওয়ার্ক’ (পদোন্নতি নেই, কাজও নেই)— এই নীতিতেই আমরা এগোচ্ছি।”

উল্লেখ্য, নীলফামারী জেলার ৫টি সরকারি কলেজে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদের অন্তর্ভুক্ত মোট ৬৮ জন প্রভাষক রয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!