বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ঢাবি অধ্যাপক আ ক ম জামাল
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ PM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থী নীল দলের আলোচিত শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদা ।
এর আগে আ ক ম জামাল ও জিনাত হুদাসহ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ যান। পরে শিক্ষার্থীরা এ খবরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন। দুপুর একটার দিকে ভবন থেকে বের হতেই ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে আ ক ম জামালকে ধাওয়া দেওয়া হয়। পরে তিনি দৌড়ে ভবনের নিচে রাস্তায় চলে যান। এ সময় এবি জুবায়েরাও তার পেছনে পেছনে ছুড়েন। পরে তাদের সঙ্গে থাকা প্রাইভেট কারে করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তারা দুজন।
ঘটনার সময় উপস্থিত ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজ ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, আ ক ম জামালউদ্দিন, আজমল ভূইয়াসহ মোট পাঁচজন নীলদলের শিক্ষক গোপনে মিটিং করেন। তারা আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছিলেন। খবর পেয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের ঘেরাও করেন। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরও উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে এবি জুবায়ের লিখেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশ ফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আ কম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!
তিনি আরও লেখেন, এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।