ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

জটিল নিয়মে আটকে আছে ফল, দিশেহারা ঢাবি শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত তারিখে একটি কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেননি তারা। এতে ফলাফল না হওয়ায় সেশনজটে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল ওই সেমিস্টারের ৩০১ নম্বর কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এর এক দিন আগে চতুর্থ সেমিস্টারের ফল প্রকাশিত হয়। একই দিনে বিভাগ থেকে অনলাইনে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে বলা হয়। সার্ভার বন্ধ থাকায় তাঁরা ফরম পূরণ করতে পারেননি। ফলে প্রবেশপত্র ও রোল পাননি।

বিষয়টি জানিয়ে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোশাররফ হোসেনের কাছে আবেদন করলে তিনি আগের পরীক্ষার রোলে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা এতে আপত্তি জানালে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সাবেক চেয়ারম্যান, কোর্স-কোঅর্ডিনেটর, ছাত্র উপদেষ্টা, ওই কোর্সের শিক্ষক এবং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে এ পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। প্রক্টর তাদের বলেন, তিনি পেছনোর চেষ্টা করবেন। তা না হলে নির্দিষ্ট রুটিনে পরীক্ষা দিতে হবে। এই আশ্বাসে পরীক্ষায় অংশ নেননি তারা।

আরো পড়ুন: উচ্চতর গবেষণা পদ্ধতি কোর্সে ভর্তি নিচ্ছে ঢাবি

তবে অন্য পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান, পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদন তারা। তারপরও পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলও আটকে আছে। এতে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এ টি এম শামসুজ্জোহা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও কন্ট্রোলার ও উপ-উপাচার্যকে জানানো হয়েছে। একাডেমিক কমিটির মিটিং হয়েছে। তাদের পক্ষে সুপারিশও করা হয়েছে। কোর্স শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা আবেদন করার পর একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিভাগের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটি খুব কঠিন। উপাচার্য চাইলে তারা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রচলিত নিয়মে হলে উপস্থিত না থাকলে পরীক্ষা নেওয়া হয় না। তবে আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব। তাদের ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে নিয়ে সুবিধা দিতে সচেষ্ট। সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষেই যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence