পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে চবিতে মিষ্টি বিতরণ
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২২, ০৭:২৭ PM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২২, ০৮:০২ PM
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্যসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রানবন্ত উপস্থিতিতে ভরপুর হয়ে উঠে হলরুম।
শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সভাকক্ষে যোগ দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
দেশের পূর্বপ্রান্তে থেকেও বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ করেছে চবির শিক্ষার্থীরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবেগঘন বক্তব্যের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উপস্থিত দর্শকরা।
শেখ হাসিনা যখন স্বপ্নের এই পদ্মাসেতু নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করেন তখন ভারী হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রচার কক্ষ। দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রধানমন্ত্রীর স্যালুট পেয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর খরচ উঠবে কত বছরে
প্রধানমন্ত্রী সেতুর উদ্বোধনের সময় শূন্যে রঙের আবেশে যখন আকাশ রঙীন ওটাই ঐতিহাসিক ক্ষণের জানান দিয়ে যায়। এই জমকালো আয়োজনের খুশি মিষ্টি বিতরণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন হোসাইন বলেন, মানষিক সক্ষমতা, সৎ সাহস, আর সৎ প্রচেষ্টার ফল আমাদের এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু । চবিতে সবার সাথে বসে এই ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
উদ্বোধন শেষ হলে উপাচার্য শিরীণ আখতারসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে ব্যবসায় অনুষদ থেকে শহীদ মিনার এবং জয় বাংলা ভাস্কর্য পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে আনন্দ র্যালি শেষ হয় । এসময় উপাচার্য চবিতে বড় আয়োজন করে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান করার ঘোষনা দেন।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় ড. শিরীণ আখতার বলেন, সমস্ত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেতু নির্মাণ করেন প্রধানমন্ত্রী। আমি আজকে আনন্দিত ও অভিভূত। স্মরণকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সাক্ষী হলাম আমরা।
উপাচার্য বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এ সেতু একদিকে যেমন পদ্মাপাড়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর করবে, অপরদিকে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট একটি অবদান রাখবে। এতে করে একদিকে যেমন দেশ-বিদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়বে। অন্যদিকে ওসব অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।