স্বচ্ছ-প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষাই মূলত ঢাবির সৌন্দর্য্য: ভিসি

  © টিডিসি ফটো

ভর্তিচ্ছু অভিভাবকের উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এই শিক্ষার্থী এখন যথেষ্ট ম্যাচিউর। তাদের বয়সও ১৮ বছর। তাদেরকে আমাদের ছেড়ে দিতে হবে। এখন ওকে নিজের মতো করে কাজ করতে দিয়ে সক্ষম করে তোলা আমাদের জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা সক্ষম হয়ে নিজের মতো করে কাজ করতে পারলে তার গুণগত মান ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে। ওরা যখন নিজের মতো করে কাজ করতে শিখবে এটাও তাদের জন্য একটি বড় প্রশিক্ষণ। আর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে তাকে এই ধাপটি সাহায্য করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আজ শনিবার (৪ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদের অধীন‌ 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার এই পর্যায়ে এখানে একটি প্রতিযোগিতা আছে। স্বচ্ছ-প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাই মূলত আমাদের সৌন্দর্য্য এবং এটি গ্রহণ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

উপাচার্য বলেন, আমি বিভাগীয় শহরের বাকি উপাচার্যগুলোর সাথে কথা বলেছি, সেখানে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এখানে দুটো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তারা পরীক্ষার পরিবেশ ও প্রশ্নের মান ও ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

অভিভাবকদের সহোযোগিতা প্রত্যাশা করে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসে আগত পরীক্ষার্থীদের চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকদের না আসার অনুরোধ করেছিলাম। এতদসত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের সাথে বিপুল সংখ্যক অভিভাবক ক্যাম্পাসে আসেন। এখানে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবে শিক্ষক, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছা সেবকরা। এই বিষয়টাতে আমাদের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন লাগবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা হওয়ায় নিরাপত্তা বিষয়টি কিভাবে দেখা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তারা সকল নিয়ম নীতির মধ্যে থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সর্বতোভাবে আমাদের সদয় সহযোগিতা করছেন। ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহরে যাওয়া ও আসা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কোন ধরনের অশুভ শক্তি,অসাধু চক্রের নানা ধরনের নেতিবাচক কাজের প্রভাব যাতে না পড়ে সেজন্য কিন্তু সব মহলেই সবসময় যথেষ্ট সজাগ ও সতর্ক রয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তারা যখন সজাগ থাকে তখন অনেক কিছুই নিরাপদ থাকে। অশুভ শক্তির বিষয়ে আপনাদের ভূমিকা মুখ্য। আপনারা যখন যে তথ্য পান তখন তা আমাদের সাথে শেয়ার করেন। তখন কিন্তু ব্যবস্থাপনায় যারা থাকেন তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হন। গণমাধ্যম কর্মীরা যখন সজাগ থাকে তখন অনেক অশুভ শক্তির কর্মপ্রয়াস ব্যর্থ হয়ে যায়। এজন্য আপনাদের ভূয়সী প্রশংসা করি।

প্রসঙ্গত, আজকে ঢাবি ক্যাম্পাস ও ঢাকার মধ্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার। এছাড়াও বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রায় ৩১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর খ ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩৩জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। গতকালের 'গ' ইউনিটেরও অনুপাত একই রকম ছিলো।


সর্বশেষ সংবাদ