ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ

ঢাবিতে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা

ঢাবিতে অস্ত্র হাতে মহড়া
ঢাবিতে অস্ত্র হাতে মহড়া   © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে তাদের ওপর হকিস্টিক, রড, চাপাতি ও দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) বেলা দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ ঘটনার জেরে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা চলাকালীন সময়ে রামদা হাতে মহড়া দেওয়া এক যুবকের ছবি গণমাধ্যমে উঠে আসলে পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে এমন আহামরি কিছু হয়ে গেল না যে এরকম অস্ত্র নিয়ে দিনদুপুরে মহড়া দিতে হবে?

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রামদা হাতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই যুবকের নাম ইয়াসির আরাফাত ওরফে ডিটু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষার্থী। ঢাবির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক। বর্তমান তিনি ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমের অনুসারী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারী।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, রামদা হাতে ছাত্রলীগের ওই নেতা মহড়া দেওয়ার সময় তার পাশে ছিলেন ড. মুহম্মদ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম। এর আগে মুনিমের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করা কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, তার (মুনিম) নেতৃত্বে শহীদুল্লাহ্ হল ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে আসেন। সেখানে সামনের সারিতে রামদা হাতে ভাইরাল হওয়া ছাত্রলীগের এই নেতাকে দেখা গেছে।

ইয়াসির আরাফাত ওরফে ডিটুর অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়ার বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষটি এড়িয়ে যান। সাদ্দাম বলেন, আজকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রস নিয়ে ছাত্রদল এসছে এবং তাদের স্বয়ং সাধারণ সম্পাদক দেশীয় অস্ত্র হাতে ক্যাম্পাসে এসেছিল। তারা প্রেস কনফারেন্সের করতে এখানে এসেছে। প্রেস কনফারেন্স কথা বলে তারা গুলিও করতে পারতো। আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীরা আজকে ছাত্রদলকে প্রতিহত করেছে।

এ বিষয়ে ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ছাত্রদল-ছাত্রলীগ কী করছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত করে বের করবে। লাঠিসোটা নিয়ে জনতাবদ্ধ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচন বানচাল ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তারা এটা করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের  নির্বাচনে কেউ কোনোদিন এসব কাজ করে নাই। সেটা করার জন্য আজকে দুইবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনগতভাবেই  উদ্ধার করা হবে এবং কে কী করেছে সেটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ