রাবির হলে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্য

‘ডাবল কক্ষের সিটের দাম ৭-৮ হাজার টাকা, ফোর সিটের রেট একটু কম’

  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগ সিট বাণিজ্য নতুন কিছু নয়। এবার সিট বাণিজ্যের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের এক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফাতের অনুসারীরা। ভুক্তভোগী এখলাম উদ্দিন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় হলের ৩৩৩ নাম্বার কক্ষে ওই শিক্ষার্থীর নামিয়ে দেয়ার জন্য হল সভাপতির ১০-১২ জন অনুসারি ওই রুমে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র নিচে ফেলে দেয়।  এছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে এ খবর জানাজানি হলে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওই রুম ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী এখলাম জানায়, হল প্রভোস্ট শামিম হোসেনের মাধ্যমে তিনি গত এক সপ্তাহ আগে মাদার বখশ্ হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে উঠেছেন।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন , গত ৪ এপ্রিল বেলা ৩টার সময় ২০৮ নাম্বার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় হবিবুর রহমান হলের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু। তখন উনি আমার কাছে বলেন, ডাবল কক্ষের সিটের দাম জানিস? ৭-৮ হাজার টাকা। আমরা কিছুই দেখিনা সিট খালি হলে শুধু টাকা দেখি। টাকা ছাড়া থাকা যাবেনা থাকলে ঝামেলা হবে।

“যদি ফোর সিটের যাও তাহলে রেট একটু কমে যাবে। এর এসব নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবিনা। এসব ওদের জানালে সমস্যা হবে।”

এরপর বুধবার রাতে সোহেল রানাসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রুমে এসে সরাসরি বেড নামিয়ে দেয়। সেসময় বেড নামিয়ে দিতে বাঁধা দেয়ায় আমার গায়ে হাত দেয়। তারপর ওই ছেলেকে তুলে দিয়ে আমার বেড নিচে ফেলে দেয়।

টাকার বিনিময়ে হলে উঠানোর অভিযোগের বিষয়ে হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আমার মাদার বখশ হল নিয়ে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। আপনাদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে তবে আপনারা নিউজ করতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফাতকে ফোন দিলে তা রিসিভ করেননি তিনি।

এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি ওদের সাথে কথা বলছি। যদি শিক্ষার্থীকে জোর করে নামিয়ে দেয়া বা মারধর ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।

হলের সিট থেকে শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয়ার মাদার বখশ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর শামীম হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়টা আগামীকাল দেখব। এখন কিছু বলতে পারছি না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence