রমজানে ঢাবিতে দেড় গুণ বেড়েছে খাবারের দাম, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   © টিডিসি ফটো

করোনার পর এই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থেকে একটি রমজান মাস পেল। কিন্তু হলের ক্যান্টিনগুলোর খাবারের দাম হঠাৎ করে প্রায় দেড় গুণ বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, মাস্টার’দা সূর্য সেন হল,কবি জসীম উদ্দিন হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে প্রায় সব খাবারের দাম আগের থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। খাসির মাংস ও ভাত ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা,গরুর মাংস ও ভাত ৫৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মুরগির মাংসের ভূনা ও ভাত ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, মাছ ৪০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়।

খাবারের দাম এভাবে হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীরা।এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।

ডাকসুর সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) জুলিয়াস সিজার তালুকদার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, খাবারের নূন্যতম মানও রক্ষা করছে না ক্যান্টিন৷ রোজার মাসে অন্তত এই স্বেচ্ছাচারীতা বন্ধ থাকতে পারতো৷ আর এ বিষয়ে প্রশাসন বরাবরই নিস্পৃহ, নিষ্প্রভ, নীরব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে কিছু আশা করলে আগে খাবার ঠিক করতে হবে৷ খাবার ভালো হলে আমরা সুস্থ থাকবো৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুস্থ থাকলেই, সুস্থ থাকবে বাংলাদেশ৷

আরও পড়ুন: ৪০তম বিসিএস: প্রথম হওয়া চার প্রকৌশলীর গল্প

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম রমজান লিখেছেন, আসলে মানুষ আল্লাহ ভীতি অর্জন করে কিন্তু ক্যান্টিনের রবার্ট গুলো ধনকুবের ট্রেন্ড অর্জন করে প্রতিটি খাবারের সামনে লোগো লাগায়। স্পেশাল মাছ- ৭০, মুরগির রোস্ট- ৮০,অমুকের কলিজা ভূনা- ৬৫, তমুকের হাড্ডি ভূনা- ৬০। কিন্তু খাবার হাতে নিতে দেখা গেলো সব খাবার আগের মতো কিন্তু সামনে লোগোটা লাগানো হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মশিউর রহমান মুন্না জানান, প্রতিটা আইটেমে খাবারের দাম ২০-৩০ টাকা বেশি মূল্য রাখা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়ায় বিষয়টা পাশবিক পর্যায়ে চলে গেছে। লর্ড ক্যান্টিন মালিকদের জবাবদিহিতার প্রশ্নে প্রশাসনের যেনো কোনো ভ্রক্ষেপ নেই।

কবি জসীম উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী খন্দকার আজিজুল হক বলেন, আমি এক দরিদ্র ঘরের সন্তান। পূর্বে দৈনিক ১০০-১২০ টাকার মধ্যে প্রতিদিনের খাবার হতো। এখন এক বেলায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাগতেছে। এভাবে খাবারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমি খুব চিন্তিত।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বলেন, আমি এই বিষয়ে এখনো শুনিনি। ৫ তারিখে প্রভোস্ট কমিটির মিটিং আছে। আমরা সেখানে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence