রাবি ক্যাম্পাসের কোচিংগুলোতে চলছে সশরীরে ক্লাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সশরীরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। কিন্তু নিয়ম ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিসিএস কোচিংগুলোতে চলছে সশরীরে ক্লাস।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের পূর্ব পাশে বিসিএস কনফার্ম কোচিং, শেখ কামাল স্টেডিয়ামের পেছনে এমবিশন প্লাস কোচিং সেন্টার এবং একই সঙ্গে কিছু প্রাইভেট সেন্টার সশরীরে ক্লাস নিচ্ছে।

আরও পড়ুন: জাবিতে সশরীরে পরীক্ষা শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিসিএস কনফার্ম কোচিং এর দায়িত্বে থাকা রমেশ বলেন, আমাদের সশরীরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আমি ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশ দেখেছিলাম। যেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল অফিস খোলা রাখা যাবে। তবে ক্লাসের বিষয়ে দেখি নাই। তাই কোচিং খোলা রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সামনে পরীক্ষা তাই শিক্ষার্থীদের দাবির খাতিরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। যদি সশরীরে ক্লাস নেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে কোচিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নেব।

এমবিশন প্লাস বিসিএস কোচিং পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, নির্দেশনা দেওয়ার সাথে সাথে কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য কোচিং খোলা থাকায় আবার শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে ক্লাস নিচ্ছি। অন্য কোচিংগুলো ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দিলে আমরাও কোচিং-এ ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো কোচিং থাকাই উচিত নয় বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু। তিনি বলেন, কোচিং যদি চালু থেকে থাকে তাহলে এটা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক। এটি মোটেই প্রত্যাশিত না। বিষয়টি যদি প্রশাসন দেখে না থাকে তাহলে এটি প্রশাসনেরও দুর্বলতা।

আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন, ক্লাস শুরু ২ মার্চ

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, কোচিংগুলো চলমান থাকা উচিত নয়। তবে প্রিলির রেজাল্ট হয়েছে। সামনে বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষা। তাই এখানে অন্যরকম একটা কিছু থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের কিছু চাহিদার বিষয়ও আছে আবার আমাদের দিক থেকে সতর্কতার বিষয়ও আছে।

তিনি আরও বলেন, ক্লাসের বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এটাকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। তাই কোচিং কর্তৃপক্ষকে ডেকে নিয়ে এসে এই জরুরী সময়টাতে কমপক্ষে কোচিংগুলো বন্ধ রাখতে বলবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল-ইসলাম বলেন, কোচিং এর বিষয়টিতে আমি অবগত ছিলাম না। মন্ত্রণালয় থেকে সকল ধরনের কোচিং বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরও যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে তো বিপদ দেখছি। তবে বিষয়টি আমি দেখছি। যতদ্রুত সম্ভব আমি ব্যবস্থা নেব।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence