ঢাবির সান্ধ্য কোর্সের লাগাম টানতে আসছে ‘নীতিমালা’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৪ PM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু রাখা হলেও এই কোর্সে লাগাম টানতে আসছে নীতিমালা। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এসব কোর্স পরিচালনা পদ্ধতিতে আনা হবে ব্যাপক পরিবর্তন।
সম্প্রতি সান্ধ্যকালীন কোর্সের নীতিমালা তৈরির জন্য গঠিত কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও নীতিমালা তৈরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাকসুদ কামাল বলেন, ‘বিভিন্ন পেশায় দক্ষতা উন্নয়নের জন্য যেসব কোর্স থাকা দরকার, সেটি জাতীয় বিবেচনায় আমরা অব্যাহত রাখব। কিন্তু আগের মতো ঢালাওভাবে সান্ধ্যকালীন কোর্স বা প্রোগ্রাম চালু না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মন ভালো নেই
তিনি বলেন, ‘এসব কোর্স কোনোভাবেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালনা করা যাবে না। এ কোর্স রাখার উদ্দেশ্য হবে—স্কিলড প্রফেশনাল তৈরি করা। তাই এর প্রচলিত পদ্ধতিতে বড় ধরনের সংস্কার আনতে হবে।’
পরিবর্তনের বিষয়ে এ অধ্যাপক বলেন, ‘আগের মতো যেকোনো বিভাগ তাদের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে না। প্রয়োজনীয়তা ও যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে শিক্ষার্থী আসন নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষকদের মধ্যে কারা কতগুলো কোর্স নেবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে। এ ছাড়া আয়-ব্যয়ের বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা থাকবে।’
কবে নাগাদ নীতিমালার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে সে বিষয়ে কমিটির প্রধান মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা আশা করছি এ মাসের মধ্যেই আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে পারব।’
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের আহ্বান জানান। এর পর এই ধরনের কোর্সের যৌক্তিকতা যাচাইয়ে ডিন পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটি গত বছর সান্ধ্য কোর্স পরিচালন পদ্ধতির বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশপূর্বক একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়নের আগ পর্যন্ত সান্ধ্য কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সান্ধ্য কোর্স আছে। মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট, ট্রেনিং কোর্সসহ অনিয়মিত এসব কোর্সের সংখ্যা ৬৯। এর মধ্যে ৫১টি মাস্টার্স, চারটি ডিপ্লোমা, সাতটি সার্টিফিকেট আর সাতটি ট্রেনিং কোর্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কোর্সের বাইরে ১০৫টি ব্যাচে এসব কোর্সে বছরে ৭ হাজার ৩০২ শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এসব কোর্সের ক্লাস নেন ৭২৫ শিক্ষক।