ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমার চেক হস্তান্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:১১ PM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:১১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা প্রদানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি চেক হস্তান্তর করেছে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের হাতে চেক প্রদান করেন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের বিশেষ কনফারেন্স কক্ষে চেক বিতরণ করা হয় ।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, ‘একসময় আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার প্রয়াস নিয়েছিলাম। যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সহযোগী হিসেবে এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে। এটি অবশ্যই আনন্দের। পুরো বীমা প্রক্রিয়াটি ‘ক্যাশলেস’ করার অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড গঠন
যমুনা লাইফ ইনসিউর্যান্সের চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবনে এই বিষয়টি সম্মান ও গর্বের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিমার আওতায় আনার ক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে যমুনা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড অত্যন্ত গর্বিত।যমুনার চেয়ারম্যান হিসেবে আমি অত্যন্ত সচেষ্ট থাকব, যাতে ঢাবির শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণভাবে সেবাটি পায়।
তিনি আরো বলেন, ‘ প্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যেই ক্যাশলেস করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের সার্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানানোর জন্য আমরা সেমিনার করব। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবে।’
ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘মাত্র ২৭০ টাকা প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীরা এই সেবাটি পাচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশে এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর জুলাই মাস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমা প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমা সুবিধা পাবেন। বহির্বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় অর্ন্তভুক্ত থাকবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ফি বাবদ প্রতি ব্যবস্থাপত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পাওয়া যাবে।