চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য নেতাদের দ্বারে ঘুরছেন রাবির নিয়োগপ্রাপ্তরা
- রায়হান ইসলাম, রাবি
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ০৯:১১ PM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২১, ১২:৪৫ AM
চাকরি স্থায়ী করতে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যেকোন মূল্যে চাকরিতে যোগদান করতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান কর্তৃক এই নিয়োগপ্রাপ্তরা।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হক চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্তদের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘন্টা কথা বলেন তারা। কথা শেষে চাকরিপ্রাপ্তদের এই বিষয়টি ভালোভাবে দেখার পাশাপাশি দ্রুত এর সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলার আশ্বাস দেন উপমন্ত্রী।
এর আগে, এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন চাকরিপ্রাপ্তদের এই প্রতিনিধি দল। এসময় যেকোনভাবে তাদের চাকরিতে যোগদানের ব্যবস্থা করতে নেতাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। তাছাড়া এ নিয়োগে ৯৩ জন আওয়ামী পরিবারের সন্তান চাকরি পেয়েছেন, সেটাও তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজনৈতিক নেতারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিষয়টির সুপারিশ করবেন বলে চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত মাহফুজ আল আমিন জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের উর্ধতন রাজনৈতিক নেতাদের নিকট গিয়ে এবিষয়ে কথা বলেছি। যেহেতু বিষয়টি মানবিক, সুতরাং বিষয়টি তাদের বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। তারাও আমাদের এই নিয়োগের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে এই ছাত্রলীগ নেতা জানান, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথেও দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে দেখা করতে পারেন নি। তবে আমরা তার দপ্তরে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছি।
এই নিয়োগকে আর অবৈধ বলার সুযোগ নেই দাবি করে তিনি বলেন, এই নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা উপাচার্য রাখেন এবং তিনি তার ক্ষমতা বলে তা করেছেন। সুতরাং এটাকে আর অবৈধ বলার সুযোগ নেই। তাছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নিজেও বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিতর্কিত শতাধিক নিয়োগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। যা ঐদিন রাতেই অবৈধ ঘোষণা করে তদন্ত শুরু করে মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে নিয়োগের বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়ায় তা বাতিলের সুপারিশ করার পাশাপাশি উপাচার্যের বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তদন্ত কমিটি। বর্তমানে পুলিশ পাহারায় দিনাতিপাত করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান।