সাত দাবিতে আন্দোলনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১২:৩৪ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১২:৪৯ PM
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (০৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার সমাধান কেবল আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। প্রশাসন সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিলেও কার্যত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করে এসব দাবির যথাযথ বাস্তবায়ন দাবি করেন।
দাবিগুলো হলো-
১. সকল সেশনকে পরবর্তী সেশনে ক্লাস করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. অনার্স ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা অতি দ্রুত নিতে হবে এবং ফল প্রকাশ করতে হবে।
৩. সকল বর্ষের ফলাফল ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
৪. ডিগ্রী ২০১২-১৩ বর্ষের চলমান বিশেষ পরীক্ষা অতি দ্রুত নিয়ে এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হবে।
৫. ২০১৭-১৮ ও ২০১১৮-৯ শিক্ষাবর্ষের ২.০০/২.২৫/২.৫০ পয়েন্টে পরবর্তী বর্ষে প্রমোটেডের নিয়ম বাতিল করতে হবে এবং তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোটেড করতে হবে।
৬. সকল মানোন্নয়ন পরীক্ষা অতি দ্রুত নিতে হবে এবং ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স সহ সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ সহ খাতা পুণঃমূল্যায়ন করতে হবে।
৭. প্রিলি মাস্টার্স ২০১৫-১৬ সেশনের ১ম পর্বের চলমান পরীক্ষা নিয়ে অতি দ্রুত ফল প্রকাশ করতে হবে। একই সেশনে একের অধিক সেশনের শিক্ষার্থী রাখা যাবে না।
মানববন্ধনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস শাহাদাত সাকিব বলেন, আমরা চাই সেশনজট শূন্যে নামিয়ে আনা হোক এছাড়াও সময় মতো পরীক্ষা নেয়া ও তার ফল প্রকাশ করা হোক। একসঙ্গে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও অধিভুক্ত কলেজগুলোর ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করারও দাবি জানান এই শিক্ষার্থী।
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, সরকারি সাত কলেজ ঢাবির অধিভুক্তি হওয়ার পর নানা সমস্যা, সংকটে জর্জরিত। এই সঙ্কট কাটছে না। পরীক্ষার পর ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হয়। ফলে ঢাবির অধিভুক্ত হয়েও মূল লক্ষ্য (সেশনজট মুক্তি) অর্জন হচ্ছে না। আমরা চাই যেন সব সমস্যা দূরীকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।