কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮ ধাপ এগিয়েছে রাবি

কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি সম্পাদিত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। মর্যাদাপূর্ণ এ র‍্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয়বারের মতো স্থান লাভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এশিয়ার আটটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছে ফেলে ৩১২তম স্থান অর্জন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়, যা গত বছরে ছিল ৩২০তম। 

দেশের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাবির অবস্থান ৭ম। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) র‍্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা যায়, এ বছর কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান অর্জন করেছে। 

এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৩২তম। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ছিল ১১২তম। সে হিসেবে এবার ২০ ধাপ পিছিয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১৪৯তম। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ১৬৫তম।

এছাড়া তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা র‍্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং। কিউএস প্রতিবছর কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক একটি র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। এ র‍্যাঙ্কিং প্রধানত ১১টি সূচকের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, পিএইচডিধারী কর্মী ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে বৃদ্ধ তাড়ানোর ভিডিও ভাইরাল, ডাকসু নেতাদের দাবি— ‘তিনি মাদক ব্যবসায়ী’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হার বিচার করেই এ তালিকা করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘প্রতিবছরই আমাদের উন্নতি হচ্ছে। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। তবে আমাদের আরো ভালো করার সুযোগ আছে। সামনের বছরে আমরা যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষককে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর অগ্রযাত্রায় এ অর্জন সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি আশাবাদী।’


সর্বশেষ সংবাদ