চাকসু নির্বাচন

ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা সচলসহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা দাবি ছাত্রশিবিরের

বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় সংবাদ সম্মেলন করে সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট
বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় সংবাদ সম্মেলন করে সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট  © টিডিসি

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু) নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অকেজো সিসি ক্যামেরা মেরামত ও পরিবর্তন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগসহ বেশকিছু দাবিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। 

শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেলটি। 
 
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন (রনি) বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন খুবই কাছাকাছি এবং এর প্রক্রিয়ার সবকিছু ভালোভাবেই এগোচ্ছে। কমিশনের কিছু অস্পষ্টতা এবং কিছু বিষয়ে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আসা যাওয়া নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। কিন্তু আমরা এখনো ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ লক্ষ করেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই কবে নাগাদ নিরাপত্তা বেষ্টনী করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত ডাকসু ও রাকসুতে সিনেটে যে ছাত্র প্রতিনিধি প্রেরণ করা হবে সেটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া বা মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে কিন্তু আমাদের চাকসুতে কেবল কেন্দ্র ও হল সংসদেই নির্বাচন করা যাচ্ছে সিনেটে অংশগ্রহণের কোনো প্রক্রিয়া রাখা হয়নি। আমরা জানতে চাই প্রশাসন সিনেট নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে।’

ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রার্থীদের কাছে পোলিং এজেন্টর তথ্য চেয়েছিল, আমরা সেই তথ্য দিয়েছিলাম। নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রশাসন আমাদেরকে জানায়নি কারা পোলিং এজেন্ট হিসেবে সিলেক্ট হয়েছে। যার ফলে কারা পোলিং এজেন্ট হিসেবে থাকতে পারবে আমরা সেটা জানতে পারিনি। আমরা চাইব প্রশাসন এটি দ্রুত প্রকাশ করবে। কেননা যারা পোলিং এজেন্ট হবে তাদের প্রস্তুতির একটি বিষয় থাকে।’

আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে র‍্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিসি টিভির বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ক্যাম্পাসের মোট ক্যামেরার অধিকাংশই অকেজো। প্রশাসনের কাছে বলব অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো মেরামত কিংবা পরিবর্তন করা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা চাইব নির্বাচনে ভোটারদের জন্য যেন অমুচনীয় কালীর ব্যবস্থা করা হয়।’

ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘সবশেষ, আমাদের অন্যতম দাবি হলো ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে হবে। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য শাটলের শিডিউল বৃদ্ধিসহ বাস সার্ভিস চালু করতে হবে এবং অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে যেন বাস রুটগুলো জানানো হয়। এটির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থী ভাই বোনদের ভোগান্তি লাঘব হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ভবনে ১৫টি হলের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নেওয়া হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। ভোটকেন্দ্র পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। 


সর্বশেষ সংবাদ