বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশীদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৯ PM
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ বরাবর পদযাত্রায় পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হয়েছে ‘বৈষম্যের শিকার বিসিএস চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে। । এ সময় তিন দফা দাবি জানানো হয়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি তুলে ধরে ‘বৈষম্যের শিকার বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দ’।
চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নন-ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া সচল করার দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। বারবার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের পর গত ১০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন বরাবর পদযাত্রায় পুলিশি হামলার শিকার হন তারা।
তাদের অভিযোগ, ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫’ তিন মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুমোদনহীন অবস্থায় পড়ে আছে, আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অধিযাচিত পদ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে নন-ক্যাডার প্রক্রিয়া অচল হয়ে পড়েছে।
বিসিএস চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দের ৩ দফা দাবি হলো ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫’ (২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধিত রূপ) অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর ও অনুমোদনের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে; ২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে চলমান (৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম) সকল বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদসমূহে দ্রুততম সময়ে সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
প্রার্থীরা মনে করেন, এই নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন হলে সরকারের শূন্যপদ সংকট নিরসন হবে, সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা-দ্রুত, স্বচ্ছ ও যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগ-বাস্তবায়িত হবে।