অমর্ত্যের প্রার্থিতা ফেরতের দাবিতে রাতভর অবরুদ্ধ ভিসি ও নির্বাচন কমিশন
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৭ AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল বহাল রেখেছে চেম্বার আদালত। এর প্রতিবাদে ও প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাতভর অবরুদ্ধ রেখেছে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সিনেট হলে ছাত্র ইউনিয়ন ও সাংস্কৃতিক জোট সমর্থিত সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন ও উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে। ভোর ৪ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিলেন তারা। তবে ভোর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীসহ কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে কিছুক্ষণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে কথা বলতে দেওয়া হয়।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা নিজের ইচ্ছায় এখানে নেই। আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা ঠিক যে নির্বাচনী কাজ করতে আমাদের কষ্ট হবে। আমরা বলেছিলাম আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলে অমর্ত্য রায়ের বিষয়টি সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গভীর রাত হওয়ায় আমরা ২ জন আইনজীবীর মধ্যে একজনকে পেয়েছি। তবে এখানে ওনারা কোনোভাবেই মানবেন না। পদ ফিরিয়ে না দিলে তারা নিজেও যাবেন না, আমাদেরকেও যেতে দিবেন না বলে জানান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের এক বেঞ্চ জাকসু নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করে। পরে এর বিরুদ্ধে চেম্বার জজের আদালতে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। এতে তার নির্বাচনে লড়ার পথ বন্ধ হয়।
পরে তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সামনে জমায়েত হয় সম্প্রীতির ঐক্যের প্রার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা 'বিশৃঙ্খলা' সৃষ্টি করে উপাচার্য ও নির্বাচন কমিশনকে সিনেট হলের ভেতরে আলোচনায় বসতে বাধ্য করে।
নির্বাচন কমিশন আদালতের রায়ের কথা জানালে এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন ও উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সম্প্রীতির ঐক্যের প্রার্থীদের দাবি, অমর্ত্যের প্রার্থীতা বাতিলের আদেশ অবৈধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছাকৃত এটি করেছে। তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না।
এসময় কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তারা বাঁধা দেন। জানান ভেতরে আলোচনা চলছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘এটা আদালতের রায়। চাইলেই তো আমরা পরিবর্তন করে ফেলতে পারি না। তবে আমি চাই সমস্যার সমাধান হোক। কিভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ চাই।’