চবির সায়েমের জ্ঞান ফিরেছে ৬ দিন পর, মামুনের খুলি এখনও ফ্রিজে

লাইফ সাপোর্টে সায়েম
লাইফ সাপোর্টে সায়েম  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংঘর্ষে গুরুতর আহত অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েম ছয় দিন পর জ্ঞান ফিরে পেয়েছেন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়। বর্তমানে তিনি হাত-পা নাড়াচ্ছেন ও পরিবারকে চিনতে পারছেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথার খুলির একাংশ এখনও ফ্রিজে সংরক্ষিত আছে।

পার্কভিউ হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, সায়েমের অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং দুইজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, তার কনশাস লেভেল এখন ১০–এর কাছাকাছি হলেও আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

অন্যদিকে মামুনের মাথায় রামদার আঘাত এত গভীর ছিল যে খুলির একাংশ খুলে ফ্রিজে রাখা হয়েছে। ডাক্তারদের ভাষায়, অন্তত দুই থেকে আড়াই মাস পর তা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে তিনি কেবিনে আছেন, তরল খাবার খাচ্ছেন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং পরবর্তী জীবনেও তাকে অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

সায়েমের বাবা মোহাম্মদ আমির হোসেন বলেন, ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন আল্লাহর কাছে। মা-বাবা কুমিল্লা থেকে এসে আইসিইউর সামনে দিন কাটাচ্ছেন। মামুনের ভাই মাসুদ রানা জানান, স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে তাঁদের শঙ্কা রয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, সায়েমের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তনালী ও খুলির ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তবে ধীরে ধীরে তার উন্নতি হচ্ছে। মামুনের অবস্থাও স্থিতিশীল, কিন্তু সুস্থ হতে সময় লাগবে।

গত ৩০ আগস্ট রাতে চবি ২ নম্বর গেট এলাকায় দারোয়ানের হাতে এক ছাত্রী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ থেকে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ প্রায় ৪০০ জন আহত হন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence