যুগে যুগে একটা সংগঠন রাবিতে তাদের রামরাজত্ব কায়েম করেছে: আমান

মোঃ আমানউল্লাহ আমান
মোঃ আমানউল্লাহ আমান  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন (রবিবার) ভাঙচুর চালিয়ে সব কার্যক্রম পণ্ড করে দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনাকে ঘিরে সারাদেশে আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। এরই মাঝে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমানউল্লাহ আমান। 

তিনি বলেছেন, যুগে যুগে একটা সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। তারা যা বলে ঐভাবে রাবি প্রশাসনকে চলতে হয়। ৫ আগস্টের পরে এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের!

রবিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে আমান লেখেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকা ছাত্রসংগঠনের প্রধান কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের ফি দিয়ে ভর্তি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সেশনের শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংসদে ভোটার হয়েছে এবং অনেকে প্রার্থী হয়েছে কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু ফি দিয়ে ১ম বর্ষের ভর্তি হওয়া চার হাজার শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে রাকসু নির্বাচন করতে চাচ্ছে রাবি প্রশাসন। 

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই স্পষ্ট গণতান্ত্রিক দাবির পক্ষে ভোটার তালিকা প্রকাশের প্রথমদিন থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করে এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। তারা উপাচার্যসহ রাকসু প্রশাসনের সকল স্টেক হোল্ডারের সাথে শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে কথা বলেছে, কেউ কথা শুনে না। কারণ একটাই, যুগে যুগে একটা সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। তারা যা বলে ঐভাবে রাবি প্রশাসনকে চলতে হয়। ০৫ আগস্টের পরে এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের!

আরও পড়ুন: রাকসু কার্যক্রম পণ্ড করল ছাত্রদল, পরিস্থিতি উত্তপ্ত

ছাত্রদলের এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, এই যে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই নির্বাচনের তারিখটাও শিবিরের পরিকল্পনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সময় দেয়া হয়েছিল, যাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজার হিন্দু শিক্ষার্থী রাকসুতে ভোট দিতে না পারে। কারণ, তাদেরকে হিন্দু ভোটাররা ভোট দিবে না। পরে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে মাত্র তিনদিন নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনে রাবির জামাতি প্রশাসন। এখনো তারিখ এমনভাবে দেয়া হয়েছে যে সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা সবাই পূজার ছুটির আমেজে বাড়ি চলে যাবে।

সবশেষে মোঃ আমানউল্লাহ আমান বলেন, রাবির কোষাধ্যক্ষ ভবনের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আজকের প্রতিবাদ শুধু ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত যৌক্তিক প্রতিবাদ। দয়া করে কেউ অযথা ন্যারেটিভ তৈরি না করে রাবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছে জানুন, উত্তর পেয়ে যাবেন যে ছাত্রদল কিসের জন্য প্রতিবাদ করেছে?


সর্বশেষ সংবাদ