জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা নিয়ে যা বললেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা

জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম প্রত্যাহার
জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম প্রত্যাহার  © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম প্রত্যাহার করায় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ই-মেইল ও ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থী পক্ষ। তবে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইন উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আইন উপদেষ্টা রয়েছে। সেখান থেকে আইন অনুযায়ী যা হয়, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বুধবার (২৭ আগস্ট) পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৬ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে ডাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকায় জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তাকে ব্যালট নম্বর ২৬ প্রদান করা হয়। কিন্তু একই দিন রাত ৭টা ৫৯ মিনিটে কোনো নোটিশ প্রদান না করে এবং কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বেআইনিভাবে তার নাম তালিকা থেকে প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশন।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই রাতেই নির্বাচন কমিশন বেআইনিভাবে বিষয়টি সিন্ডিকেটের কাছে সিদ্ধান্তের জন্য পাঠায়, যা নোটিশদাতার ভাষ্য অনুযায়ী, সিন্ডিকেটের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ ধরনের কার্যক্রমকে একটি পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা আখ্যা দিয়ে এতে বলা হয়, এর মাধ্যমে জুলিয়াস সিজারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার এবং তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

আইনজীবী পাঠানো নোটিশে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের এমন পদক্ষেপ কমিশনের স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। একইসঙ্গে এটি একজন নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও দাবি করা হয়।

নোটিশে সতর্ক করে বলা হয়েছে, প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জুলিয়াস সিজারের নাম যদি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় পুনরায় অন্তর্ভুক্ত না করা হয়, তবে বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ