ডাকসু নির্বাচন

ভোটকেন্দ্র বাড়িয়ে ভোটার টার্নআউট বাড়ানোর দাবি ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প‌্যানেলের

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) দূরের ভোটকেন্দ্রগুলো হলের কাছাকাছি রাখা ও নতুন ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর মাধ্যমে ভোটার টার্ন আউট বাড়ানোর দাবি ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের শুরু থেকেই যে কনসার্ন ছিল ভোটার কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, হল আইডি কার্ড ছাড়া যেন ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই আমাদের যে দাবি ছিল হল কার্ড ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দিয়ে এটা তারা বাস্তবায়ন করেছে। 

উমামা ফাতেমা বলেন, তবে ভোটকেন্দ্র বাড়ানোর যে দাবি ছিল সেটি আজকেও বলতে চাই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব থেকে সড়িয়ে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে স্থাপন করা। যার ফলে ঐ হলের শিক্ষার্থী কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। অন্যদিকে সামসুন্নাহার হলের পাশেই পরমাণু শক্তি কমিশন। 

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলেই তাদের ভোটকেন্দ্র পরমাণু শক্তি কমিশনের কোন একটি ভবনে রাখতে পারে। ফলে এই হলেও ভোটার টার্ন আউট অনেক বেশি হবে। তাছাড়া হলপাড়ায় যে হলগুলো রয়েছে সেগুলো ভোটকেন্দ্র উদয়ন স্কুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কেন্দ্র পরিবর্তন করে এফবিএস বা বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে স্থাপন করলে ভোটার টার্ন আউট বাড়বে। তাছাড়া স্যার এ এফ রহমান হল, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভোটকেন্দ্র যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে রাখা হয়।’

ভোটগ্ৰহণের দিন ক্যাম্পাস সেনবাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ভোটগ্ৰহণের দিন ক্যাম্পাসের চারপাশে আর্মি থাকবে এবং ভোট গণনার সময় তারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আমাদের জায়গা থেকে যে কনসার্ট সেটি হচ্ছে প্রশাসন এই ব্যাপারে প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করেননি‌। সম্পূর্ণ প্রার্থীদের আড়ালে গিয়ে তারা এখানে ভোটকেন্দ্র আর্মিদের অবস্থানের কথা বলতে পারেন , ক্যাম্পাস নিরাপত্তার কথা বলতে পারেন তখন কিন্তু আমাদের মাঝে এক আশঙ্কা তৈরি হয় যে তারা প্রার্থীদের পাশ কাটিয়ে নানা সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চান। 

তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের যে মন্তব্য তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের নিজস্ব প্রক্টরিয়াল টিম আছে‌, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর আছেন, পাশাপাশি পাশেই শাহবাগ থানা আছে, নীলক্ষেতে পুলিশ ফারি আছে, তাছাড়া শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএনসিসি ও স্কাউট থাকবে। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে কেন আলাদা করে আর্মিকে আনা হচ্ছে এই বিষয়টা কিন্তু নির্বাচন কমিশন থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। প্রার্থীদের সাথে আলাপ ব্যতিরেখেই প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। 


সর্বশেষ সংবাদ