যৌথ গবেষণায় ঢাবি ও জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি সই, নতুন দিগন্তের উন্মোচন বলছেন ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ০২:০১ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সম্প্রতি ছয় দিনের জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে তিনি গত ২২ জুলাই জাপানে যান এবং শিক্ষা ও গবেষণা সহযোগিতা জোরদারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন।
সফরকালে উপাচার্য এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. নিশিনা হিরোসিগে ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করেন। বৈঠকে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এ লক্ষ্যে উভয়পক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
এছাড়া, ঢাকা মহানগর এলাকায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-সম্পর্কিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে পানি বিশুদ্ধকরণ ও গুণগত মান নিরীক্ষণ প্রযুক্তি বাস্তবায়নের একটি যৌথ গবেষণা প্রকল্পের জন্য একটি কোলাবোরেটিভ রিসার্চ এগ্রিমেন্ট (সিআরএ) সই করেন উপাচার্য।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও জাপান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এজেন্সির (জেএসটি) অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে প্রধান গবেষক হিসেবে থাকবেন ঢাবির মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। সফরের অংশ হিসেবে উপাচার্য এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ল্যাবরেটরি ও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন করেন, যেখানে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
টোকিওতে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান মূল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। “রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকি, প্রত্যাবাসনের পথ এবং জীবিকা নির্বাহের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সেমিনারে তিনি বক্তব্য দেন এবং ফাউন্ডেশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথ গবেষণার সম্ভাবনা নিয়ে বৈঠক করেন।
এছাড়া, জাপানের ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবার এনাভায়রনমেন্টার স্ট্র্যঅটেজিস-এর রিসার্চ পরিচালকের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন উপাচার্য। সেখানে জলবায়ু নীতিনির্ধারণ এবং নীতিনির্ভর গবেষণা কার্যক্রমে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান এই সফর সম্পর্কে বলেন, এই সফরের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণা ও একাডেমিক সহযোগিতার একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।