সাম্য হত্যাকাণ্ড

শিক্ষার্থীদের দ্রুত বিচারের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ ঢাবি ভিসির

ঢাবি ভিসি
ঢাবি ভিসি  © জনসংযোগ

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করছে। এদিকে, গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রসমাজ’ ব্যানারে শিক্ষার্থীদের একটি দল প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। পরে আসামিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন তারা। এরপর সেখান থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা।

এই হত্যাকাণ্ডে দ্রুত বিচার নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। আজ শনিবার (১৭ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বিশেষ বৈঠকে তিনি এ সংহতি জানিয়েছেন।

বৈঠকে অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, গত ১৩ মে দিবাগত রাতে আমাদের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের দ্রুত বিচারের যে দাবি তার সাথে সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছি আমি। 

‘‘তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে তার পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাসহ ডিবি পুলিশসহ একটি বিশেষ একটি বৈঠক হলো। যাতে আমরা পরস্পরের তথ্য শেয়ার করতে পারি এবং অগ্রগতি কতটুকু হলো তার হালনাগাদ তথ্য পেতে পারি।  দ্রুততম সময়ে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন পাই সেজন্য আমরা পুলিশকে সাহায্য করছি।’’

তিনি বলেন, পুলিশের কাছ থেকেও আমরা এখন পর্যন্ত যা তথ্য পেয়েছি তার ভিত্তিতে ব্যাপারটিকে কীভাবে আরও ত্বরান্বিত করা যাই সেই বিষয়ে আমাদের আলোচনায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার পদক্ষেপ হচ্ছে আমরা আগামীকাল (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বিকাল ৩টায় একটি বিশেষ সভার আয়োজন করেছি। আজকের এই আলোচনার কিছু মূল নির্যাস আমরা আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করবো। 

পরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অপরাধীদের আগামীকাল থেকে রিমান্ড শুরু হবে। দ্রুত তদন্ত কাজ শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যার ঘটনা উদঘাটিত হবে উল্লেখ করেন তিনি। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এ হত্যার বিচার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ