জাবির ছয়টি হলে গ্যাস সংযোগ চেয়ে উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ছয়টি আবাসিক হলে গ্যাস সংযোগের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী মামুন মঙ্গলবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিটি পাঠিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাহাঙ্গীরনগরে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী ২১টি হলে থাকছেন । এগুলোর মধ্যে নবনির্মিত ছয়টি হল—রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেছা হল, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, ২১ নম্বর হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল। 

ছয়টি হলের চারটি প্রায় দুই বছর আগে এবং বাকি দুটি ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে চালু হলেও এখনও কোনও হলে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে ডাইনিং ও ক্যান্টিন চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্যাস সংযোগের জন্য আবেদন করে। 

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ১৫ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ১৬ জুলাই প্রথম প্রহরে গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে আন্দোলনকে তীব্রতর করে তুলেছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার সমর্থিত অন্তবর্তী সরকার শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিস আমলে নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। সরকারের শিক্ষাবান্ধব নীতির আলোকে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা তার।

আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন চবির ‘বহিষ্কৃত’ ৬ ছাত্রী, শাস্তির মেয়াদ কমল ৩ জনের

এ বিষয়ে মেহেদী মামুন বলেন, নবনির্মিত ছয়টি হলের মধ্যে চারটি হলের উদ্বোধনের দুই বছর পার হলেও এখনো গ্যাস সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাকি দুটি হলের উদ্বোধনেরও প্রায় ছয় মাস পার হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এসব হল থেকে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে সুলভ মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা দাবি করলেও প্রশাসন এখনো সে দাবিতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। 

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তিনি পেট্রোবাংলাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবেন।


সর্বশেষ সংবাদ