ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের: উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:২৭ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রায় ৪০ শতাংশ শিক্ষক আন্তর্জাতিক মানের। বাকিদেরও সেই মানে নিয়ে যেতে পারি, যদি গবেষণার জন্য একটি সুষ্ঠু ও সমর্থনযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা যায় বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধুমাত্র শিক্ষা নয়, জাতীয় দায় ও দায়িত্ব নিয়েও কাজ করে। সীমাবদ্ধতার মাঝেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ ও বিদেশে শিক্ষা-গবেষণায় নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি রিচার্স পার্টনারশীপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ বলেন, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এই বন্ধুত্ব রাজনীতির উর্ধ্বে। প্রজেক্টটি সমাজে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। মানুষ উপকৃত হবে। এই ধরনের প্রজেক্টকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দিন শেষে সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের সমাজের জন্য কাজ করতে হয়। নিজেদের এখন দেশ ও সমাজের জন্য গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সুযোগ রয়েছে। সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।
জানা যায়, জাপান সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এজেন্সি (জেএসটি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)‘র অর্থায়নে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পানির গুনগত মান তদারকি এবং বিশুদ্ধকরণ টেকনোলজি নিয়ে শীঘ্রই একটি প্রজেক্ট শুরু হতে যাচ্ছে। সেটিকে সামনে রেখে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। সভাপতিত্ব করেন মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. আনোয়ার হোসেন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রজেক্টের জাপান অংশের প্রধান গবেষক (পিআই) ড. কোজো ওতানাবি।
উল্লেখ্য, এই প্রজেক্টের মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইয়েনের (জাপানি মুদ্রা) প্রজেক্টটি ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০৩১ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। ২০২৫ সালের মে মাস থেকে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রজেক্টটি প্রবেশনারি পিরিয়ড হিসেবে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের এহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তর, জাপানের সিজুকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজিস প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে।